সুপ্রভাত ডেস্ক »
রোববার সন্ধ্যার এই বিস্ফোরণে ধসে সাতজন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে পুলিশ; আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে কয়েকশজনকে। এরমধ্যে পথচারী এবং সড়কে বিভিন্ন গাড়িতে থাকা যাত্রীও রয়েছেন।
ভবনের কোথাও গ্যাস জমে বিকট এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা। এটি নাশকতার কোনো ঘটনা নয় বলে মনে করছে পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই এলাকাটি বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বলে স্থানীয়রা জানায়। অনেকের কাছে তা ঠেকছিল ভূমিকম্পের মতো।
পরে দেখা যায়, মগবাজার-মৌচাক সড়কের পাশে ৭৯ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডের পুরনো একটি তিনতলা ভবন আংশিক ধসে পড়েছে।
ওই ভবনের দোতলায় ইলেকট্রনিক পণ্য সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল। নিচতলায় খাবারের দোকান শরমা হাউজ ও বেঙ্গল মিটের দোকান ছিল, যা মিশে গেছে বিস্ফোরণে। বিভিন্ন পিলারও ধসে পড়ে।
সড়কের পাশের ওই ভবনের বিপরীত দিকে আড়ং। বিস্ফোরণে আড়ং, তার পাশের বিশাল সেন্টারসহ ডজনখানেক ভবনের কাচ চৌচির হয়ে রাস্তায় পড়ে।
সড়কের উপর লাব্বাইক পরিবহন ও আল মক্কা পরিবহনের দুটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুটি বাসের সবগুলো কাচ ভাঙা ছিল, ভেতরে ছিল রক্তের দাগ।
যে ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা, সেই ভবনটি সামনে থেকে তিনতলা মনে হলেও পেছনে দিকে আরেক তলা দেখা যায়। ভবনটির সামনে দিকে মূল রাস্তা থাকলেও পেছনে গলির মতো রাস্তা রয়েছে। সামনের দিকে নিচতলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দোতলার তেমন ক্ষতি বোঝা যায়নি। তবে পেছনের দিকে দোতলাসহ নিচতলা প্রায় উড়ে গেছে।
ভবনটি বেশ পুরানো বলে জানান বড় মগবাজার এলাকার বাসিন্দা ওলিউর রহমান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ঢাকার মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এই পর্যন্ত তথ্য পেয়েছি যে এই ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন।”
এদিকে এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনায় তিনজন মারা গেছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
পরে রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিহতের সংখ্যা ছয়জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, বার্ন ইউনিটে তিনজন, আদদ্বীন হাসপাতালে একজন আর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিশু নিয়ে মোট ছয়জন মারা গেছেন বলে তথ্য দেন তিনি।
তবে নিহতদের মধ্যে জান্নাত (২৫) নামে এক নারী এবং স্বপন (৩৫) নামে এক পুরুষের নাম জানা গেছে। বাকিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
‘মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প’
যে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ঠিক তার পেছনের ভবন থাকেন ওরিয়েন্টাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ শেখ আদুল জলিল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েনিটফোর ডটকমকে জানান, “পুরো ভবন কেঁপে উঠল। ঘরের জানালা দরজার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। মনে হল যেন ভয়াবহ ভূমিকম্প।
“দ্রুত নেমে এসে দেখি পাশের ভবনের ওপর থেকে কাচ ভেঙে পড়ছে। চারদিকে ধুলো দিয়ে অন্ধকার হয়ে গেছে, ভবনটি ঢেকে গেছে।”
একই ভবনের নিচতলায় থাকেন মৈত্রী নার্সিং হোমের মালিক রফিকুল ইসলাম। তিনি ঘটনার সময় নিজ কক্ষে বসে ছিলেন।
তিনি বলেন, “এমন ভয়াবহ দৃশ্য জীবনে দেখিনি। বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। পুরো ভবন কেঁপে উঠল। আমার কক্ষের যত কাচ ছিল সব চুরমার হয়ে নিচে পড়ছে। ছুটে বাইরে এসে একটু এগিয়ে দেখি আরও ভয়াবহ দৃশ্য। কারও হাত ঝুলছে, কারও পা রক্তে রক্তাক্ত।”
রফিকুল জানান, যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই ভবনের সামনে মাটি কেটে পাইপ বসানোর কাজ চলছিল। সেখানে কাদা পানিতে ভর্তি। সেখানে ৭/৮ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি।
ভবনের নিচতলায় শরমা হাউজে এক নারীকে তার শিশু কন্যা সন্তানকে জড়িয়ে ধরে রক্তাক্ত থাকতে দেখেন রফিকুল। পরে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভবনের নামনের ফ্লাইওভারের নিচে থাকেন ভাসমান কয়েকজন। তাদের একজন রমজান আলী বলেন, বিকট শব্দে প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। মনে হয় ফ্লাইওভারটি ভেঙে পড়েছে। পরে বুঝতে পেরে দৌড়ে ভবনের কাছে গিয়ে দেখি ভয়াবহ দৃশ্য।
সড়ক পেরিয়ে ওই ভবনের ঠিক বিপরীতে রাশমনো হাসপাতাল। এই হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক সাদিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের সেবা দেওয়ার কোনো পরিস্থিতি ছিল না। বিস্ফোরণের পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। সবাই এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে। জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের প্রায় সব কাচ ভেঙে পড়ে।”
রাশমনো হাসপাতালের পাশের আড়ংয়ের ভবনের সবগুলো কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
তখন আড়ংয়ে থাকা সুলায়মান চৌধুরী নামে একজন বলেন, “সত্যিই আমি কী করব বুঝে উঠতে পারিনি। হুড়াহুড়ি করে নিচে নামার সময় কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো শব্দে আমার ব্রেইনও কাজ করছিল না। তবে সেন্স ছিল।
“নিচে নেমে দেখলাম, অবিরামভাবে উপর থেকে কাচের বড় বড় টুকরো ভেঙে পড়ছে। বড় বড় সব ইট-পাথর ও কাচের টুকরো ডিঙিয়ে কোনোমতে বেরিয়ে আসতে পেরেছি।”
নাহিদ নামে আহত এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তিনি বাসে থাকা অবস্থায় আহত হন।
সাজ্জাদ নামে আরেক বাসযাত্রীও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
আহত পথচারী মোহাম্মদ শাহ আলমের ছেলে সাগর তার বাবাকে ট্রলিতে করে ঢাকা মেডিকেল থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শাহ আলামের মাথায়-নাকে ব্যান্ডেজ।
সাগর বলেন, ঘটনার সময় তার বাবা ওই ভবনের নিচে ছিলেন। ছিটকে আসা কাচে তিনি আহত হন।
আদ-দ্বীন হাসপাতালে রোগী দেখতে যাওয়ার পথে ফারজানা মুহিত মগবাজারের কাছেই ছিলেন ঘটনার সময়ে।
তিনি বলেন, “আমাদের গাড়িটা জ্যামের ভেতরে পড়ে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটনার পর আমার গাড়ি বেহাল হয়ে গেছে। কোনো রকমে গাড়ি থেকে দ্রুত বের হওয়াতে রক্ষা পেয়েছি। নইলে যেভাবে উপর থেকে ধ্বংস্তূপ পড়ছিল, তাতে নির্ঘাত মৃত্যু সামনেই ছিল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য বেঁচে গেছি।”
ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে একটি এপার্টমেন্টের বাসিন্দা মুফাকর উল ইসলাম বলেন, “আমরা এখান থেকে অনেকটাই দূরে। তারপরও আমাদের অ্যাপার্টমেন্টে বেশ কয়েকটি জানালার গ্লাস ভেঙে গেছে।”
কেমন করে এটা হল- প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “বিকট শব্দে।”
বিস্ফোরণের কারণ কী
বিস্ফোরণের পর স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছিলেন, কোনো ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরিত হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, কোনো ভবনের জেনারেটর কিংবা এসি থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
তবে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়।
“বৈদ্যুতিক সংযোগজনিত কোনো কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেনি বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। মাঝে সতর্কতামূলক কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়েছিল।”
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনতলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। অনেক ফ্রিজ থাকে সেখানে, তা থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। তদন্তের পরই তা স্পষ্ট হওয়া যাবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ডিএমপি কমিশনার শফিকুলও সাংবাদিকদের বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের যারা কাজ করেছে, তাদের সাথে কথা বলে যেটা বুঝেছি যে, এখানে কিছু গ্যাস জমে ছিল এবং এই গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের সাতটা বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দুইটা বাস বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।”
এটা নাশকতা কি না- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমার কাছে মনে হচ্ছে না। নাশকতা যদি হত, বোমা বিস্ফোরণ যদি হত, স্প্লিন্টারের আঘাতে মানুষ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেত। আশেপাশের আপনারা গাড়ি দেখেছেন, বাস দেখেছেন, বাসে স্প্লিন্টারের কোনো আঘাত লাগেনি। কাজেই এটা বলা যায়, এটা বোমার কোনো ঘটনা নয়, গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।”
আহত কয়েকশ
বিস্ফোরণে আহতদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কাছের কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতাল, হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে। গুরুতর আহতদের পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে।
আহতদের অনেকের শরীর পুড়ে গেছে। বিস্ফোরণে ভেঙে পড়া কাচের আঘাতে অনেকে মাথা-শরীর কেটে গেছে। অনেকের শরীরের বিভিন্ন অংশে ভাঙা নিয়েও হাসপাতালে গেছেন।
বিস্ফোরণস্থল থেকে তিন-চার মিনিট হাঁটা দূরত্বে কমিউনিটি হাসপাতাল। সেখানে প্রায় তিনশ’ জনের মতো চিকিৎসা নেন বলে জানিয়েছেন আউটডোর ইনচার্জ আ জ ম রহমতউল্লাহ সবুজ।
তিনি বলেন, বেশিরভাগেই শরীরে নানা জায়গায় কাটাছেঁড়া, মাথায় আঘাত ছিল। দুজন হাসপাতালে আনার পরই মারা যায়। চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাকিদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেখানে ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন।
তাদের বেশিরভাগই শরীর পোড়া অথবা মাথায় আঘাত নিয়ে এসেছিলেন। একজন হাসপাতালের আনার সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অন্যান্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“বার্ন নিয়ে এসেছিল অনেকে, অনেক রোগী ছিল হেড ইনজুরি। দগ্ধ রোগীদের মধ্যে যারা সিভিয়ার তাদের এখানে রাখতেই পারিনি। যেটুকু প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যায় তা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয় ১০ জনকে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন চারজন।
হলিফ্যামিলি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক বলেন, মাথায় আঘাত নিয়েই এসেছেন বেশিরভাগ রোগী।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, সেখানে ১৭ জন রোগী গেছে। তাদের মধ্যে ২ জনকে মৃত অবস্থাতেই আনা হয়।
তিনি বলেন, ১ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বাকিদের মধ্যে ৩ জন দগ্ধ রোগী। এদের ২ জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। দুজনেরই দেহের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাত (২৩) নামে এক নারী মারা যান।
তিনি বলেন, রোগীদের অনেকেরই মাথায় আঘাত ছিল। অর্থোপেডিক রোগীও ছিল কয়েকজন। তাদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, মগবাজারের ঘটনায় ৪৪ জন ঢাকা মেডিকেলে আসেন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেলে যারা চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে, তারা হলেন মো. মামুন (৩০), শাহ নেওয়াজ পাটয়ারী (৩৫), হৃদয়(২৩), আরিফুল ইসলাম (৩৯), মেহেদী হাসান নয়ন (২২), মাহাবুব আলম (৩৯), মো. মুসা শাহজাহান (৪৫), স্বপন (৩৫), মো. শহিদ (৬৫), সৈকত (৮), আবুল ফজল (২৮), সালেহা বেগম (৬০), লাকী আক্তার (৩২),সাজ্জাদ (১৮), আইয়ুব খাঁন (২৫), সুভাষ চন্দ্র সাহা (৬৫), আরমান (২৫), রতন (৩০),মোকতার (৩৫), আসাদ (৫৮)।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন আবুল কালাম আজাদ (৫৬), মোতালেব হোসেন (৪০), জামাল (৪০), নয়ন (৪০), আবুল কালাম (২৭) ও কালু (২৭)।
এদিকে বিকট শব্দে কানে তালা লাগার মতো অবস্থা হয় অনেকের। কেউ কেউ বলেন, তাদের মাথা ঝিন ঝিন করছে।
ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে একটি এপার্টমেন্টের বাসিন্দা মুফাকর বলেন, “এই এলাকার মানুষজনের অনেকেরই কানে সমস্যা দেখা দেবে। আমি নিজেরও কেমন কেমন যেন লাগছে। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টে সকলে ভয় পেয়েছে, বাচ্চারা তো একেবারে চুপসে গেছে।”