সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেখতে সুদর্শনা, টানা টানা চোখ, মিষ্টি হাসি; আর সাজসজ্জায় যেন পুরনো দিনের বাংলা সিনেমার নায়িকা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তিনি আসলে অন্য কেউ! সহজ কথায় বললে ভূত! ভয়ংকর সব রূপে মানুষের সামনে হাজির হন।
এমন ভয়ানক অবতারে পর্দায় এসেছেন টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ঈদ উপলক্ষে প্রচার হওয়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চম্পা হাউজ’-এ তিনি এই ব্যতিক্রম চরিত্রে কাজ করেছেন। এটি নির্মাণ করেছেন হালের প্রশংসিত নির্মাতা ভিকি জাহেদ।
গত রোববার ইউটিউবে উন্মুক্ত করা হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি। প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত এর ভিউ ছাড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৩ হাজার। ইউটিউবে ফিকশনটিতে লাইক দিয়েছেন ৩১ হাজার দর্শক। সঙ্গে হাজারো মন্তব্য।
অধিকাংশ মন্তব্যেই প্রশংসার ফুলঝুরি। যেমন নির্মাণশৈলির প্রশংসা দেখা যাচ্ছে, তেমনি মেহজাবীনের অভিনয়ের। রাফসান চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘অতীতে যত ভৌতিক কনটেন্ট নির্মিত হয়েছে দেশে, এটা সবগুলোর চেয়ে সেরা’; পৌলমী চ্যাটার্জি নামের এক দর্শক লিখেছেন, ‘শেষটা অসাধারণ! আমি বাকরুদ্ধ। প্রত্যেকের অভিনয় এই প্রজেক্টের মূল সম্পদ’, ফারজানা আক্তার মেঘলা নামের আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘প্রতিটা ভৌতিক সিন দেখে অসম্ভব রকম ভয় পেয়েছি। বাংলা নাটক দেখেও এত ভয় পাওয়া যায়, সেটা অসম্ভব ভাবনা ছিলো। সত্যিই অসাধারণ সৃষ্টি’।
একটি বাড়িকে ঘিরে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির গল্প এগিয়েছে। যেখানে অশরীরী আত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ান মেহজাবীন। তার নানান ভৌতিক কা-ে অবাক হন বাড়িতে ওঠা নতুন বাসিন্দারা। কিন্তু এটা কি সত্যিই ভৌতিক ঘটনা? নাকি বাসিন্দাদের মনের ভুল? সেটা পরিষ্কার হবে পুরো চলচ্চিত্রটি দেখলে।
ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপেও ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে ‘চম্পা হাউজ’ নিয়ে। অধিকাংশের কাছেই প্রশংসা পাচ্ছে এটি। সেই সঙ্গে তারা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসার অনুরোধও জানাচ্ছেন নির্মাতাকে।
‘চম্পা হাউজ’-এ মেহজাবীন ছাড়া আরও আছেন আফরান নিশো, মাসুম আজিজ প্রমুখ। এর গল্প লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা। চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন ভিকি জাহেদ। প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।