নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে ও ১৫টি উপজেলায় শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৪ দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে নগরের ৫ লাখ ৩২ হাজার ও উপজেলার ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭২ শিশু পাবে এ ক্যাপসুল। ভরা পেটে ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
আজ মাইকিং ও ধর্মীয় উপসনালয়সহ বিভিন্ন মাধ্যমে নগরবাসীকে জানানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন সম্পর্কে। আগামীকাল থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম।
গতকাল বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী। ১৫টি উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী বলেন, শনিবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে চসিকের স্থায়ী ও অস্থায়ী ৩৫০টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮০ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৫২ হাজার শিশুকে ১টি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। চসিক এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এছাড়া ৬ মাস বয়সী শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করেন। পাশাপাশি বাদ পড়া শিশুদের চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও মাতৃসদন হাসপাতালে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন।’
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় ১৫টি স্থায়ী, ১৫টি ভ্রাম্যমাণ ও৪ হাজার ৮শটি অস্থায়ী কেন্দ্রে পরিচালিত হবে এ কার্যক্রম। মোট ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭২ শিশু পাবে এ ভিটমিন ক্যাপসুল। এতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯০ হাজার ১৯০ শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৪ হাজার ৮৮২ শিশুকে ১টি করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।’
এর আগে গত ৫ থেকে ১৯ জুন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাসের ৮৩ হাজার ৪৪৩ জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮১ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় নগরে। একই ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাসের ৮৮ হাজার ৯৬০ জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮২৪ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় উপজেলা পর্যায়ে।