ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা

সাধারণ মানুষের দাবি পরিবহনে ভাড়ার চার্ট ঝুলাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক »
বহদ্দারহাট থেকে সিএনজি চালিত টেম্পুতে আন্দরকিল্লা আসতে ১৩ টাকা ভাড়া চায় চালক। জানতে চাইলে ভাড়া বৃদ্ধির ইস্যু তুলে ধরেন এতেই চলছে বাগবিতণ্ডা। সুযোগ পেয়ে সিএনজি চালিত গাড়ি ভাড়া বাড়তি নেওয়ার ফাঁদ পেতেছে। কিন্তু তার আচরণে সম্মান বাঁচতে বাড়তি ভাড়া দিয়েই নামতে হলো টেম্পু থেকে। বলছিলেন ভুক্তোভোগী যাত্রী সুজন।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ডিজেল চালিত গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি করেছে সরকার। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে পিছিয়ে নেয় সিএনজি চালিত পরিবহন। যথার্থ ভাড়া নিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষ সকল পরিবহনে ভাড়ার চার্ট নিশ্চিতের দাবি তুলেছে। এদিকে পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ধর্মঘট পালন করছে বন্দরে।
গতকাল সোমবার দিনের বিভিন্ন সময় নগরীর আন্দরকিল্লা, নিউ মার্কেট, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, লালখানবাজার, জিইসি, ২ নম্বর গেট ও মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজারসহ বিভিন্ন মোড় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারিভাবে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও সড়কে চলছে ভাড়া নৈরাজ্য। যার যেমন খুশি ভাড়া চেয়ে বসছে। যদিও সরকার কিলোমিটার প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু তার তোয়াক্কা করছে না চালক-হেল্পার। এতেও রয়েছে গোজামিল। হিসেব কষতে গিয়ে তারা দ্বিধান্বিত। কোথায় কেমন ভাড়া হতে পারে তার হিসেবের গোজামিলে দিশেহারা। এদিকে সুযোগ সন্ধানী সিএনজি চালিত পরিবহনের প্রতি উঠেছে জনগণের আঙুল। ডিজেল চালিত গাড়ির সমমূল্যে কখনো বেশি ভাড়া চেয়ে বসেছেন তারা। ভাড়া নিয়ে সারাদিনে ছোট বড় হাজারো ঘটনা ঘটে গেছে এ নগরে। বাস সংশ্লিষ্টদের সাথে যাত্রীদের বাগবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে গেছে। তাছাড়া দূরপাল্লার বাসেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছে যাত্রীরা।
কক্সবাজার থেকে আসা এক পর্যটক বেলাল উদ্দীন বলেন, ‘যাওয়ার সময় ২৫০ টাকা বাস ভাড়ায় কক্সবাজার গিয়েছিলাম। পরিবহন ধর্মঘটের পর ফিরতে গিয়ে এ ভাড়া ১শ’ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা হয়ে গেছে। ভাড়া পরিসংখ্যান করে মূল্য তালিকা দেওয়ার দায়িত্ব কাদের? তারা কি তাদের দায়িত্ব পালন করেছে নাকি পরিবহন মালিকদের উপর ছেড়ে দিয়েছে?’
আগ্রাবাদ মোড় এক ব্যবসায়ী রহমান এহসান বলেন, ‘৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা চাইলে বাড়াবাড়ি শুরু করেছে বাসের হেল্পার। কিছু বললেই বলে বাস থেকে নেমে যেতে। তাদের হাতে কি জনগণ বন্দি? নাকি প্রশাসনের হাত বাধা? ভাড়া বাড়ানোর পর কেন তা সঠিক ভাড়ার চার্ট বাসে দেওয়া হয় না? এমন হলে ভাড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিনিয়ত জঞ্জাল পোহাতে হবে।’
এক গার্মেন্ট শ্রমিক শাকিলা বলেন, ‘তেলের দাম বেশি, গাড়ি ভাড়া বেড়েছে, বাজারে সাথে খরচের সামঞ্জস্য থাকে না। কিন্তু এদিকে আমাদের বেতন তো বাড়ছে না। এইভাবে হলে নিজে চলবো নাকি পরিবারের জন্য দেশে টাকা পাঠাবো? সর্বশেষ ক্ষতিটা আমাদেরই হয়।’