সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামে ছয় দিনের ব্যবধানে আবারও ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশের হাতে দিয়েছে আনসার সদস্যরা। মিয়ানমারের এই শরণার্থীরাও তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি ভাসানচরের আশ্রয় কেন্দ্র থেকে পালিয়ে এসেছে।
শনিবার সকালে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল (মিরসরাই ইকোনমিক জোন) থেকে তাদের আটক করা হয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এ নিয়ে গত ছয় দিনে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা নারী, পুরুষ, শিশুসহ ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার আটকদের মধ্যে পাঁচজন নারী, চারজন পুরুষ ও ১১টি শিশু রয়েছে বলে জানান জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আটক রোহিঙ্গারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ট্রলারে করে সমুদ্রপথে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে। মিরসরাই শিল্পাঞ্চলে নেমে তারা টেকনাফ যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
এস্থান থেকে একইভাবে পালিয়ে আসা নারী-শিশু ও পুরুষসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছিল গত ১১ জুলাই। তার আগে গত ৩ জুলাই সন্দ্বীপ উপজেলার দক্ষিণ উরিরচর থেকে সাত রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় লোকজন।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি মো. নুর হোসেন মামুন বলেন, “শিল্পাঞ্চলের পশ্চিম পাশে সাগর তীরে নেমে রোহিঙ্গা গ্রুপটি হেঁটে আসছিল। সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা তাদের পথরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।”
এক পর্যায়ে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করার পর আনসার সদস্যরা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে থাকা মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য ভাসানচরে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে কয়েক দফায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরে আরও এক লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার।