সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তৌহিদ হৃদয় হঠাৎই আলোচনায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভরাডুবির পর তরুণ পাঁচ-ছয়জন ক্রিকেটারকে নিয়ে কাজ করছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। এখনও পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা না হলেও হৃদয়কে নিয়ে ভাবছে নির্বাচক কমিটি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের ধাপ পেরিয়ে বড়দের সঙ্গে নিয়মিতই খেলছেন ডানহাতি এই ক্রিকেটার। আজ (মঙ্গলবার) অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে জানালেন লক্ষ্য তার বড়দের বিশ্বকাপ জয়।
কঠিন সময়ে ডাক আসলেও সুযোগ নিতে প্রস্তুত আছেন হৃদয়, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ফিল করি এটা আমার জন্য বড় একটা সুযোগ। ভালো-খারাপ হতেই পারে, আমরা আরও ভালোভাবে ওভারকাম করবো ইনশাআল্লাহ। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি, যদি সুযোগ পাই সেটা কাজে লাগাবো ইনশাআল্লাহ। হতে পারে অনুশীলন, হতে পারে সবকিছুই। সিনিয়র ভাইয়েরা আছেন, তাদের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
যুব দলের বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা থাকা হৃদয় সামনের দিকে তাকিয়ে। ভবিষ্যতে বড়দের বিশ্বকাপ জেতানোর মতো দায়িত্ব নিতেও প্রস্তুত হৃদয়, ‘আমরা যতদিন ক্রিকেট খেলবো, ততদিন এটা (যুব বিশ্বকাপ জয়) আমাদের কনফিডেন্স দেবে। একটা বিশ্বকাপ জয় হয়েছে। আমরা প্রতিটা খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি যে কীভাবে বিশ্বকাপ জিততে হয়। সেই সঙ্গে আমাদের কনফিডেন্স আছে যে ইনশাআল্লাহ বড়দের বিশ্বকাপ যেটা আছে, সেটাও জিততে সক্ষম হবো।’
নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে হৃদয় বলেছেন, ‘আসলে পজিশনটায় কে খেলবে কে খেলবে না, সেভাবে বলাটা কঠিন। সাকিব ভাইয়ের মতো প্লেয়ার তো বাংলাদেশে নেই। তার রিপ্লেসে খেলবো সেরকম চিন্তা-ভাবনা করছি না। আমি আসলে আমার দিকে ফোকাস করছি, আমাদের ব্যাচের আরও যারা রয়েছে তারাও ফোকাস করছে। ওরা যদি সুযোগ পায় নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলবে।’
অনুশীলনে অভিজ্ঞ তামিম ইকবালের কাছ থেকেও পরামর্শ নিয়েছেন হৃদয়। কী সেই পরামর্শ, শুনুন তার মুখেই, ‘তামিম ভাই আমাদের সবসময় অনুপ্রাণিত করেন। তার থেকে সবসময় আমরা ভালো কথা শুনি। কীভাবে আমরা ভালো করবো, নেক্সট স্টেপগুলোতে আমাদের কী কী ফেস করতে হতে পারে। সিনিয়র প্লেয়ারদের কাছ থেকে যখন এরকম কিছু পাই, তখন সেটা আসলেই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমরাও চাই এরকম কিছু আসুক।’