সুপ্রভাত ডেস্ক :
রাতে যে কোনো স্থানই এক ভিন্ন জগতে পরিণত করে। দিনের শেষে দিবাচর প্রাণীগুলো বিশ্রাম নিতে ঘরমুখী হয়। নিশাচর প্রাণীগুলো এই শূন্যস্থান পূরণে জেগে ওঠে। দিবাচর প্রাণীর চেয়ে নিশাচর প্রাণীগুলো অধিকতর দক্ষ এবং বিস্ময়কর।
প্যাঁচা সবচেয়ে বিস্ময়কর নিশাচর প্রাণীগুলোর একটি। পাখিটি ঘুটঘুটে অন্ধকারেও সাবলীলভাবে উড়ে বেড়াতে সক্ষম। এদের চোখ কম আলোর জন্য বিশেষভাবে অভিযোজিত।
প্যাঁচার প্রিয় খাবার শস্যক্ষেতের ইঁদুর। খুবই চঞ্চল এবং সতর্ক প্রাণী ইঁদুর। তবে প্যাঁচা কীভাবে এতো সতর্ক একটি প্রাণী শিকার করে? রহস্যটি লুকিয়ে আছে এদের নিঃশব্দে উড়ে বেড়ানোর কৌশলে।
এদের পাখার বিশেষ পালকগুলোই নিঃশব্দে উড়ে বেড়ানোর প্রধান অস্ত্র। পালকের শেষ প্রান্ত পাতলা এবং ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন। বেশিরভাগ পাখির পালকের শেষ প্রান্তটি যেখানে বেশ শক্ত।
পালকের শক্ত প্রান্ত বাতাসে বেশ উচ্চমাত্রার আলোড়ন তৈরি করে। ফলে তৈরি হয় বেশ জোরালো আওয়াজ। তবে প্যাঁচার ছিন্ন ও পাতলা পালকে বাতাসের আলোড়ন হয় না বললেই চলে।
ফলে এরা নিঃশব্দে শিকারের অত্যন্ত নিকটে পৌঁছাতে সক্ষম। আবার এদের কারণে গঠনও বিশেষ ধরনের। মাথার দুপাশের গোল ডিস্ক দুটি আগত শব্দকে কানের দিকে প্রবাহিত করে।
দুই কানে শব্দের তীক্ষèতার পার্থক্য থেকে এরা শব্দের উৎসের নিখুঁত অবস্থান বুঝতে পারে। পাশাপাশি নিজের পাখার কোনো শব্দ না থাকায় শিকারের সামান্য নড়াচড়াও এদের কানে পৌঁছায়।
অসাধারণ এসব বৈশিষ্ট্য প্যাঁচাকে প্রাণীজগতের সুপারহিরোতে পরিণত করেছে। তবে সারা পৃথিবীব্যাপী প্যাঁচার সংখ্যা দ্রুতগতিতে কমে আসছে।
বাসস্থান ধ্বংস এবং শিকারের অভাব এদের বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। মনুষ্যসৃষ্ট সঙ্কটের কাছে হার মানছে সুপারহিরো পাখিটিও। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
ফিচার দেউড়ি