নিজস্ব প্রতিবেদক»
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। এতে আওয়ামী লীগের নবীন-প্রবীণ নেতারা ভার্চুয়ালি আংশগ্রহণ করেন।
গতকাল শনিবার সকালে লালখানবাজার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দিন সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়ানো হয়। সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগ অল্প সময়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। করোনা মহামারির সময়ে বিভিন্ন সেবা নিয়ে মানুষের পাশে ছিল এ সংগঠন, এখনো আছে। তারা কৃষকের ধান কেটে বাড়ি তুলে দিয়েছেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেও মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরপরও দেশের এক শ্রেণির মানুষ অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ সংগঠনও যোগ্য নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে। তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে। সবাইকে দলে আনা যাবে না। দলের লেবাস ধরে অনেকেই প্রবেশ করতে চাইবে। এদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়ে অধিক কঠোর হতে হবে বলে জানান তিনি।
নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কে বি এম শাহজাহান ও সালাউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে যুক্ত হন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।
এছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ও মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের মধ্যে যুক্ত ছিলেন আবদুর রাজ্জাক, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আমজাদ খান, ড. জমির উদ্দিন সিকদার, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এ কে এম নাজিম, নাফিউল করিম নাফা, আশীষ কুমার সিংহ, রাহুল বড়ুয়া, ডা. উম্মে সালমা মুনমুন, তারেক মাহমুদ চৌধুরী পান্থ, মো. আজগর আলী, জাবেদুল আলম মাসুম, বোখারী আযম, মো. হানিফ চৌধুরী ও মো. সাইফুল্লাহ আনসারী।