নিজস্ব প্রতিবেদক »
২০১৭ সালে একনেকে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে চাক্তাই থেকে কালুরঘাট চার লেনের সড়ক কাম উপকূলীয় বেড়িবাঁধের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। আগামী বছরের জুনে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আরো একবছর বর্ধিত করার পাশাপাশি প্রকল্পের বাজেটও বাড়ানো হয়েছে। সংশোধিত বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ২ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। যা বিগত বাজেটের চেয়ে ৪৩৬ কোটি টাকা বেশি। গতকাল মঙ্গলবার একনেক সভায় সংশোধিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
বাজেট বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পটির পরিচালক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ বলেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় ১২টি খালের মুখে রেগুলেটর বসানো হচ্ছে। প্রথমে যেসব রেগুলেটর রাখা হয়েছিল সেগুলো পরিবর্তন করে মরিচারোধী ফাইবার রেইনফোর্সড পলিমার (এফআরপি) আনা হচ্ছে। এসব রেগুলেটর ৫০ বছরেও কিছু হবে না। তাই বাজেট বেড়েছে।’
তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের আওতায় ১২টি খালের মুখে রেগুলেটর বসানোর পাশাপাশি প্রকল্পের রাস্তার দৈর্ঘ্য বেড়েছে এক কিলোমিটার। এছাড়া পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য কল্পলোক আবাসিক এলাকা থেকে বলিরহাট পর্যন্ত নদীর ভেতরের অংশে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রিটেনিং দেয়ালের পাশাপাশি ব্লক বসানো হবে।
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ৮ কিলোমিটার ছিল, এখন বাড়লো কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রাজীব দাশ বলেন, ‘মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের কারণে রোডটি ঘুরিয়ে নিতে হয়েছে। এতে রাস্তার দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিন্তু প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির পর যথাসময়ে কাজ শেষ হবে কিনা জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক রাজীব দাশ বলেন, ২০১৭ সালে প্রকল্পটি একনেকে পাস হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যাবে।
উল্লেখ্য, নগরীর চাক্তাই থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে সাড়ে আট কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩০ ফুট উচ্চতার রিং রোড কাম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে শাহ আমানত সেতু থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত নদীর তীর ঘেঁষে মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। পুরো নদীর তীর নগরবাসীর একটি বিনোদন স্পটে পরিণত হবে।