আনোয়ারায় ট্রাফিক পুলিশসহ ১৫ জন আক্রান্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা:
আনোয়ারায় একের পর এক এলাকা করোনা সংক্রমিত হলেও, নিয়ম মানার প্রবণতা নেই কোথাও। উপজেলায় ১১ ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ৬২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হলেও মোড়ে মোড়ে যানবাহন আর মানুষের জটলা রয়ে গেছে চোখে পড়ার মত, বাজারেও রয়েছে ভিড়। আক্রান্তের বাড়ি লকডাউন থাকলেও অন্য সদস্যরা বাইয়ে ঘুরছে।
করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য গত মঙ্গল ও বুধবার ৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডির ল্যাবে পাঠায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ল্যাবে পাঠানো রিপোর্টে শনিবার রাতে ১৫ জনের করোনা পজিটিভ আসে। আক্রান্তদের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কর্মকর্তা, বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাতিজা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের নার্স ও এনজিও কর্মী রয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের, ৫ জন সুস্থ হয়েছেন এবং বাকিরা সবাই সুস্থ রয়েছে। আক্রান্তদের বাড়িও লকডাউন করছে বলে নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ। আনোয়ারায় করোনা আক্রানেত্মর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে প্রতিদিনই বাড়ছে। উপজেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য নির্দেশনা দিলেও, সেটি অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে এসব স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে প্রশাসনের মনিটরিং আরো জোরদার করারও আহবান জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার বাইয়ে থেকে শহর, কর্ণফুলী, চন্দনাইশ উপজেলার মানুষও পরীক্ষা করানোর জন্য আসে। অন্য উপজেলা শহরের গুলো ছাড়া শনিবারের ১৫ জনসহ এ পর্যন্ত আনোয়ারায় ৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে সবসময় বলা হচ্ছে, তারপরও মানুষ যেন মানতে চাচ্ছে না। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং মাস্ক ব্যবহার না করায় কয়েকজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানাও করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মনিটিরিং অব্যাহত রয়েছে।