বাস শ্রমিককে পেটানোর জের পটিয়ায় পাঁচ ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিনিধি,পটিয়া :

পটিয়ায় দুই বাস শ্রমিককে পিটিয়েছে অপর একটি গাড়ির শ্রমিকরা। আহতরা হলেন- যাত্রীবাহী বাসের হেলপার সুমন পাল (২৭) ও মনছুর আলম জিকু (২৬)।
গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া উপজেলা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস চলাচল ৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। বাস ও মিনিবাস মালিক এবং শ্রমিকদের বিরোধের জের ধরে মূলত এ ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টার দিকে পটিয়া ট্রাফিক ইনচার্জ জাকির হোসেন বাস ও মিনিবাস চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক করেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত তৃতীয় সেতুর উত্তর পাড় থেকে দীর্ঘদিন ধরে পটিয়ার বাস সার্ভিস চলে আসছিল। কিছুদিন ধরে বাসের পাশাপাশি মিনিবাসও পটিয়াতে চলাচল শুরু করে। একই রুটে বাস ও মিনিবাস চলাচল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে প্রায় সময় শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিত-া হয়।
বাস মালিকদের অভিযোগ, রুট পারমিট ছাড়া মিনিবাস মহাসড়ক হয়ে পটিয়া এলাকায় চলাচল করছে। বিষয়টি থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শনিবার সকালে বাসের দুই হেলপারকে মনসা চৌমুহনি থেকে উপজেলার হরিণখাইন এলাকায় নিয়ে মিনি বাসের শ্রমিকরা বেদমভাবে প্রহার করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গাড়ির দুই হেলপারকে প্রাণে রক্ষা করা হয়। এরপর যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
পটিয়া পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক মো. ইয়াছিন জানিয়েছেন, বাস ও মিনিবাস মালিক এবং শ্রমিকদের বিরোধের কারণে দুই শ্রমিককে পিটিয়েছে। যার কারণে ৫ ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। দুই পক্ষের বিরোধ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হওয়ায় পুনরায় গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে।
মিনিবাস মালিক মো. শুক্কুর জানিয়েছেন, বাস মালিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে মিনিবাস পটিয়ার রাস্তায় পুনরায় চলাচল হয়েছে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি অহেতুক মারামারি করছে। তাদের ১৯টি মিনিবাসের মধ্যে ১০টি পটিয়া এলাকায় চলাচল করার কথা ছিল। সে মোতাবেক চলছিল। কিন্তু ৪টি মিনিবাস পটিয়া এলাকায় আটকে রাখা হয়।
পটিয়া ট্রাফিক ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, বাস ও মিনিবাস মালিক এবং শ্রমিকদের বিরোধের কারণে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। আলাপ আলোচনা করে শীঘ্রই তাদের বিরোধ মীমাংসা করা হবে।