রাজু কুমার দে, মিরসরাই »
মাহমুদা আক্তার। বয়স মাত্র দুই বছর। এই বয়সে হারিয়েছেন বাবাকে। বাড়ির উঠানে বাবার নিথর দেহ কাফনের কাপড়ে মোড়ানো। তবুও এদিক ওদিক বাবাকে খুঁজছেন মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পিকআপ চালক ইকবালের কন্যা মাহমুদা।
জানা গেছে, নিহত ইকবাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুফিয়া রোড এলাকায় মিনি পিক আপে কাঠ নেয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি ছিলেন পিকআপ চালক। পিক-আপটির পেছনে ছিল একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা। হঠাৎ দ্রুত গতির একটি কাভার্ডভ্যান তাদের ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ও ব্যাটারিচালিত রিক্সাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে নিহত হয় তালবাড়িয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন, ফরিদ। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় শহীদুল।
ইকবালের ছোট ভাই জাবেদ বলেন, আমার বড় ভাইয়ের ৪ মেয়ে এক ছেলে। ছেলেটি স্থানীয় কলেজে পড়ে। সে পিকআপ চালিয়ে সংসার চালাতো। মাহমুদা তার ছোট মেয়ে। মাহমুদাকে খুবই আদর করতো সে। আমার ভাই মারা যাওয়ার পর বাবা খুঁজছে মাহমুদা।
স্থানীয়রা জানান, ইকবাল খুবই ভালো ছেলে ছিল। সংসারের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করতো। এলাকায় তার সুনাম ছিল। কিন্তু ভালো ছেলেটিকে কেড়ে নিল কাভার্ডভ্যান। এ সময় ইকবালসহ তালবাড়িয়া গ্রামে নিহত তিন পরিবারের সহায়তায় সরকারকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ সোহেল সরকার বলেন, কাভার্ডভ্যান ও চালক রাসেলকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশগুলো ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হয়েছে।