নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান »
বান্দরবানের পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাস পাহাড়ের তিনশ’ ফুট নিচে গভীর খাদে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার বান্দরবান থেকে থানচি যাওয়ার পথে জীবননগর এলাকায় সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। পর্যটক দলের সবাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মচারী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকবাহী একটি নোয়া গাড়ি ভ্রমণের জন্য থানচি যাওয়ার পথে জীবননগর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ওয়াহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে বুয়েটের এক কর্মচারী নিহত হন। তার বাড়ি ঢাকা দক্ষিণ সিটি লালবাগ এলাকায়।
খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। এসময় গুরুতর আহত ৪ জনকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে হামিদুল ইসলাম নামে আরও একজন পর্যটক মারা যান। এরপর চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে জয়নাল (৩০) নামে আরও একজন মারা যান।
বাকিদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েেেছ। এদের মধ্যে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আহতরা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কর্মচারী মিলন, মঞ্জুর, রাজিব, আব্দুল মালেক এবং চালক ফারুক।
আহত পর্যটক আবদুল মালেক বলেন, আমরা সবাই ঢাকা বুয়েটের নিরাপত্তা শাখার কর্মচারী। ঢাকা থেকে একজনের ভাড়া গাড়িতে করে বান্দরবান বেড়াতে এসেছিলাম। থানচিতে যাবার পথে জীবননগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। গাড়িতে চালকসহ আমরা ৯ জন ছিলাম।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, পর্যটকবাহী একটি নোয়া গাড়ি থানচির জীবননগর এলাকায় গভীর খাদে পড়ে ঘটনাস্থলে একজন মারা যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও দুজন মারা যায়। মূলত অপরিচিত ড্রাইভার, পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।