নিজস্ব প্রতিবেদক »
শীতকালীন সবজির আগাম দেখা মিলছে বাজারে। নতুন সবজি ক্রয়ে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকলেও দাম চড়া। অন্যদিকে ভোজ্যতেলের দাম কমছেই না। কেজি প্রতি রেকর্ড ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল। সেই সাথে বেড়েছে ব্রয়লার, লেয়ার, সাদা কক ও সোনালি মুরগির দাম। নগরীর কাঁচাবাজার বহদ্দারহাট ও চকবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
চকবাজারের সবজি বিক্রেতা আকমল সুপ্রভাতকে বলেন, বাজারে কয়েক প্রকার নতুন সবজি এসেছে। এগুলো শীতকালীন সবজি। শিম, টমেটো, ফুলকপি ইত্যাদি। সরবরাহ কম হওয়ায় কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, কাঁকরোল ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, দেশি করলা ৬০ টাকা, শিম ১৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, পেঁচা কচু ৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লতা ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, কুমড়া ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২২ টাকা কেজিতে এবং লেবু ১০ টাকা জোড়া বিক্রি হচ্ছে।
খোলা সয়াবিন তেল, পাম তেল ও কোয়ালিটি তেলের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। বোতলজাত তেল ১৫৩ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৫০ টাকা, কোয়ালিটি ১৪৫ টাকা, পাম তেল ১৩৫ টাকা, সরিষার তেল ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ট্রেডিং কর্পোরেশন আব বাংলাদেশ (টিসিবি) দৈনিক বাজার দরে দেখা যায়, দুই লিটার সয়াবিন (বোতল) তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৫ শতাংশ কমেছে।
বহদ্দারহাটের মুদি দোকান ব্যবসায়ী কামাল স্টোর এর কর্মচারীদের দেয়া তথ্যমতে, দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮৫ টাকা, মাসকলাই ডাল ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, অ্যাংকার ডাল ৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, ছোলা বুট ৭০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা এবং আটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের মুরগি বিক্রেতা শহীদ জানান, দীর্ঘদিন লকডাউন খোলার পর হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সবকিছু খোলা থাকায় সব প্রকার মুরগির দাম বেড়েছে।
তিনি জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৪৫ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকা। বাজারে খাসির মাংস ৮০০ টাকা এবং গরুর মাংস ৫৮০ টাকা দরে ক্রয় করতে দেখা যায়। আর হাঁসের ডিম প্রতি জোড়া ২০ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ১৮ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন (দেশি) ৫০ টাকা, রসুন (আমদানি) ৯০, আদা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, পাঙাশ মাছ ছাড়া সব প্রকার মাছের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়তি। তিনি জানান, পাঙাশ ১২০ টাকা, রাজপুটি ২৬০ টাকা, বাইন মাছ ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প মাছ ১৭০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৪৮০ টাকা, ইলিশ মাছ ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা, কৈ মাছ (ফার্ম) ১৫০ টাকা, দেশি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।


















































