নেদারল্যা-ের সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী হ্যারি ভ্যান বোমেল বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের সাথে এক হয়ে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জেনোসাইড বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে সফল হবো বলে আমাদের বিশ্বাস। চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশে এসে আমরা ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। ঢাকায় ডাচ্ রাষ্ট্রদূতের সাথেও এ ব্যাপারে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। আর্মেনিয়া জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেতে ১০০ বছর লেগেছে। আশা করি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অত সময় লাগবে না। আমরা ফিরে গিয়ে আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবো। বাংলাদেশে এসে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা শেয়ার করবো তাদের সাথে। যাতে করে ডাচ পার্লামেন্ট এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়। আমরা ডাচ মিডিয়া, ইউকে মিডিয়ার সাথে কথা বলবো। প্রয়োজন হলে আমরা বাংলাদেশে আবার আসবো।
হ্যারি ভ্যান বোমেল আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতদের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ত্বরান্বিত হবে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ইউরোপিয়ান প্রতিনিধি দলের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে তিনি উক্ত কথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। সূচনা বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার।
বক্তব্য রাখেন জেনোসাইড স্টাডিজ’র অধ্যাপক ড. অ্যান্থনি হল্সল্যাগ, ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত যুক্তরাজ্যের সিনিয়র সাংবাদিক এবং জেনোসাইড গবেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ণ, ইবিএফ-নেদারল্যান্ড শাখার সভাপতি ও প্রবাসী সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ এর চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, ইবিএফ- যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, আমরা ৭১-এর প্রধান সমন্বয়ক হেলাল ফয়েজী, বীর শহীদের সন্তান এবং কলামিস্ট প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার দত্ত।
প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা বলেন, বাংলাদেশের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি একটি গ্লোবাল ইস্যু। এ ব্যাপারে ইবিএফ-এর ভূমিকা প্রশংসনীয়।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকদের কাছ থেকেও এ ব্যাপারে সহযোগিতা প্রয়োজন।
ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন বলেন, একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের লেখনির মাধ্যমে বিশ্বের কোথায় কী অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তা মানুষ জানতে পারেন।
অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন এম নাসিরুল হক, মো. শহীদুল ইসলাম, নাজিমুদ্দীন শ্যামল, নুরউদ্দিন আলমগীর, হামিদুল ইসলাম, শামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং মিজানুর রহমান।
এ সময় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য মো. আইয়ুব আলী এবং মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, স্থায়ী সদস্য নির্মল চন্দ্র দাশ, আফজল রহিম সিদ্দিকী, পংকজ কুমার দস্তিদার, মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, একএম কামরুল ইসলাম চৌধুরী, জাহিদুল করিম কচি, প্রদীপ নন্দী, যীশু রায় চৌধুরী, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, ওমর কায়সার, সিরাজুল করিম মানিক, ই পারভেজ ফারুকী, সুভাষ কারণ, ইসকান্দর আলী চৌধুরী, দেব প্রসাদ দাস দেবু, মাহবুব উর রহমান, নুরউদ্দিন আহমেদ, বিপুল বড়ুয়া, কাজী আবুল মনসুর, মুহাম্মদ আবুল হাসনাত, রাজেশ চক্রবর্তী, মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, মো. গোলাম মর্তুজা আলী, তাজুল ইসলাম, সুমন গোস্বামী, রবি শংকর চক্রবর্তী, রনি দে, সাইফুল ইসলামসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।