সুপ্রভাত ডেস্ক »
পানি ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের আয় বাড়াতে ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ‘ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজাস্টার রেজিলেন্ট স্মল স্কেল ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এই অনুদান ও ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১০ দশমিক ৬ কোটি ডলার ঋণ ও ১ দশমিক ৭৮ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হবে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি’র মধ্যে ঋণ ও অনুদান চুক্তি সই হয়েছে। সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার, নেদারল্যান্ডস সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খবর ঢাকা পোস্ট।
প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যে পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি আট বিভাগের ৪২টি জেলার ৩৪১টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। কৃষকের আয় বৃদ্ধি, ১৫০টি নতুন উপ-প্রকল্পে জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল পানি ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোর উন্নয়ন, ২৩০টি বিদ্যমান উপ-প্রকল্পে অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ এবং গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০২৩ হতে জুন ২০২৯ পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এডিবি সহজ শর্তে ঋণ দেবে। ঋণের সুদের হার শতাংশ। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে এ ঋণটি পরিশোধযোগ্য।
এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর হতে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ২৯,৮৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসন-কে প্রাধান্য দেয়। বর্তমানে এডিবি ৫৩টি চলমান প্রকল্পে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করছে। এছাড়া, ২০২৬ সাল পর্যন্ত এডিবির পাইপলাইনে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৪৮টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।