সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারের কাছে আত্মঘাতী গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে পরাজয় বিতর্কিত পেনাল্টি গোলে। দুই ম্যাচ হারের পরই এশিয়ান গেমস থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। হারলেও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তিনি চেয়েছিলেন শেষ ম্যাচে যেন তার দল স্বাগতিক চীনের বিরুদ্ধেও ভালো ফুটবল খেলে। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে এতটা ভালো খেলবে হয়তো ক্যাবরেরাও ভাবতে পারেননি। ফিফা র্যাংকিংয়ে ১০৯ ধাপ এগিয়ে থাকা চীনের বিরুদ্ধে কত গোল খাবে বাংলাদেশ সেই শঙ্কাই করছিলেন অনেকে, কিন্তু মাঠে বাংলাদেশের ফুটবলাররা বুক চিতিয়ে খেলে চীনকে তাদেরই মাটিতে গোলশূন্যভাবে রুখে দিয়েছে। এশিয়ান গেমস ফুটবলে এর আগে দুইবার চীনের বিপক্ষে খেলে দুইবারই হেরেছিল বাংলাদেশ। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়াডে হার ছিল ১-০ গোলে। তখন গেমস ফুটবলে খেলতো জাতীয় দল। এরপর ২০০২ সালে বুসান এশিয়াড থেকে শুরু হয় গেমস ফুটবলে খেলে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলা। তিনজন সিনিয়র (২৩ বছরের ওপরে বয়স) খেলানো যায়। ওইবার বাংলাদেশ বুসানে চীনের কাছে হেরেছিল ৩-০ গোলে।
পরপর দুই ম্যাচ হারের পর তৃতীয় ম্যাচে এসে বাংলাদেশ রুখে দিতে পারলো এবারের এশিয়ান গেমসের আয়োজক চীনকে। যদিও চীন প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই নিশ্চিত করেছে পরের রাউন্ডে খেলা। বাংলাদেশ ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে দেশে। গত গেমসে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেললেও এবার বিদায় নিলো গ্রুপ পর্ব থেকে।
তবে শেষ ম্যাচ ড্র করে জয়ের চেয়ে বেশি আনন্দ নিয়েই ঘরে ফিরছে বাংলাদেশ অলিম্পিক ফুটবল দল। খবর জাগোনিউজ’র