সুপ্রভাত রিপোর্ট »
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজে পুলিশের গুলিতে গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে চেস্টনাট স্ট্রিটে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ সৈয়দ ফয়সাল আরিফ নিহত হন। মা-বাবার একমাত্র সন্তান সৈয়দ ফয়সাল আরিফ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস আমহার্স্টের বোস্টন ক্যাম্পাসের কম্পিউটারবিজ্ঞানে পড়াশোনা করতেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি সৈয়দ ফয়সাল আরিফ কাজও করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা এলাকায়। পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি তবে তাঁর জন্ম যুক্তরাষ্ট্রেই হয়েছে।
বোস্টনে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিচার চেয়ে গতকাল সোমবার (৯ জানুয়ারি) বড় ধরনের বিক্ষোভ করেছে। প্রতিবাদ সমাবেশে ন্যায় বিচার চেয়ে কমিউনিটি লিডাররা বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট পারভীন চৌধুরী, সেক্রেটারি তানভীর মুরাদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ চৌধুরী প্রমুখ অংশ নেন।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রাষ্ট্রদূত বিষয়টি ওয়াশিংটনে উত্থাপন করেছেন। মার্কিন সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে এখানে ন্যায়বিচার হবে। যে পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত বা ডিউটি থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এমন একটি তথ্য আমরা পেয়েছি।