সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ভালো করেনি। যে কারণে দেশজুড়ে হয়েছে নানান সমালোচনা। ৬ মাস না যেতেই বাংলাদেশের সামনে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মাঝখানে অগোছালো-অবিন্যস্ত বাংলাদেশ দলের ফুলটাইম অধিনায়ক হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশি একটি সময় পাননি। এরমধ্যেই দোরগোড়ায় চলে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অধিনায়ক হওয়ার কারণে চাপ কিংবা দায়িত্ব বেড়ে গেছে, এমনভাবে চিন্তা করতে চান না শান্ত। বরং এতে তার বড় একটি স্বপ্নই পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে শান্তর প্রথম বিশ্বকাপ মিশন এটি। যা একজন ক্রিকেট হিসেবে তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল বুধবার শান্তর গল্প নিয়েই অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখান বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের দর্শন, প্রত্যাশা ও সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয়, প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই এমন স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। তারপর যদি আবার বিশ্বকাপের মতো একটা আসরে এ ধরণের সুযোগ আসে, তাহলে তো সেটি গর্বের বিষয়। অনেক দারুণ একটা মুহূর্ত আমার কাছে মনে হয়। পাশাপাশি আমার কাছে মনে হয়, এই সময়টাকে উপভোগ করতে চাই। টিমের হয়ে অবদান রাখতে চাই। যে দায়িত্ব আছে, সেটি ঠিকমতো পালন করতে চাই।’
অধিনায়ক হওয়ার কারণে কোনো ধরনের চাপ অনুভব করেন কিনা, এই প্রশ্নে শান্ত বলেন, ‘অধিনায়ক হওয়ায় অনেক বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেছে এভাবেও চিন্তা করতে চাই না। প্রত্যেকটা সময় উপভোগ করতে চাই। প্রত্যেকদিন দলকে যেন কিছু একটা দিতে পারি এটাই মূল লক্ষ্য থাকবে।’
বাংলাদেশ দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছেন- সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর বিষয়ে শান্ত বলেন, ‘এটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট মনে হয় আমার কাছে। এমন ক্রিকেটার যখন দলে থাকে, বিশেষ করে যারা তরুণ, অনেকেই আছে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন- তাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণা দেবে মনে হয়।
‘পাশাপাশি তাদের তো অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাও আছে। আশা করি, কঠিন সময়ে কোনো সাহায্য দরকার হলে তারা করবেন এবং এখনও তারা সেটি করছেন। বিশ্বকাপে এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমি আশা করি।’
টি-বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও নকআউট পর্বে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন, এমন প্রশ্নও করা হয় শান্তকে। শান্তর জবাব, ‘সম্ভাবনা আমি বলতেই চাই না। খেলোয়াড়েরা চায় বাংলাদেশ দল কাপ জিতুক। এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলো- প্রস্তুতিটা ঠিকমতো নিয়েছি কিনা, ছোট ছোট কাজগুলো করছি কিনা, প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কিনা- এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে করতে পারি, প্রতিটি ম্যাচে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ফল আসবেই। তাই ফল নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। ছোট ছোট জিনিসগুলো যেন আমরা ঠিক করতে পারি, এটা নিয়ে বেশি মনোযোগী।’
এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রত্যাশা কেমন বা কোনো পর্যায়ে যেতে পারলে মনে হবে যে, মোটামোটি লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এমন প্রশ্নে শান্ত বলেন, ‘প্রত্যাশা নিয়ে বেশি চিন্তা করলে, এটি একটি বাড়তি চাপ বলে আমার কাছে মনে হয়। প্রক্রিয়াটা ঠিক করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজের কাজটা ঠিকমতো করাটা গুরুত্বপূর্ণ। যা যে ভূমিকা, সেটি ঠিকমতো পালন করতে পারছি কিনা, সেটি ভালো করে দেখতে হবে। খবর রাইজিংবিডি.কম’র