নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া <
পেকুয়ায় অবৈধ উপায়ে উপার্জনের ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় নেজাম উদ্দিন (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জুবাইর প্রকাশ কালো জুবাইর নামের একজনকেও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাকে গোপনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নেজাম উদ্দিন ওই এলাকার ছব্বির আহমদের পুত্র। পেকুয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ভারুয়াখালী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নেজাম উদ্দিনসহ ১০/১২ জনের একটি ডাকাতদল সক্রিয় রয়েছে। ভারুয়াখালীর মামুন, টইটং ইউপির মধুখালী এলাকার জুবাইর প্রকাশ টুটটি, পূর্ব ভারুয়াখালী এলাকার জুবাইর প্রকাশ কালা জুবাইর, পাহাড়ীয়াখালী এলাকার জমির হোসেন ওই সিন্ডিকেটের সদস্য।
পাহাড়ি এলাকায় দখল-বেদখল, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত তারা। নিহত নেজাম উদ্দিনসহ তারা রাতে পুর্ব ভারুয়াখালী আবুল হোসেন প্রকাশ আবুলোর দোকানে চা-নাস্তা খেয়ে বাড়ি ফিরছিল। ধারণা করা হচ্ছে ভাগের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে নেজাম উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, ওই সিন্ডিকেটের সদস্যদের অত্যাচারে ভারুয়াখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে অন্তত দশটি পরিবার এলাকাছাড়া হয়েছে। অনেক নারী ও যুবতীর সম্ভ্রম হানি করা হয়েছে। লোকলজ্জা ও তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না ভুক্তভোগীরা। তারা জানায়, জুবাইর প্রকাশ কালা জুবাইরকে আটক করতে পারলে ঘটনার মূল ক্লু উদঘাটন করা যাবে।
এদিকে নিহত নেজামের স্ত্রী শারমীন আক্তার দাবি করেন আমার স্বামীকে বনরাজা জাহাঙ্গীর প্রকাশ ডাকাত জাহাঙ্গীর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে, আমি এ বিচার চাই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌফিক।
পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানায়, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।