নিজস্ব প্রতিবেদক »
যানজট কমাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উদ্যোগগুলো হলো ধীরগতির যানবাহনের লাগাম ধরাসহ ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম ও পে-পার্কিং চালু করা। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে রাখা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তিনি কলকাতা শহরের উদাহরণ উপস্থাপন করেন।
বুধবার নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আয়োজিত চসিকের ৩২তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি যানজট নিরসন প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘টানেল আরম্ভ হলে শহরে গাড়ির চাপ আরও বাড়বে। যানজট কমাতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে হবে এবং রিকশার মতো ধীরগতির বাহনের লাগাম টানতে হবে। কলকাতার মতো ঘিঞ্জি শহরে পে-পার্কিং চালু করা গেলে, চট্টগ্রামে করতে ট্রাফিক বিভাগের আপত্তি কোথায়? পে-পার্কিং করতে গেলে সেখানে বাধা, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে তো কোনো বাধা দেখছি না।
ট্রাফিক বিভাগকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘ফুটপাথ দখলের পর হকাররা এখন রাস্তাও দখল করছে। চসিক পরিস্থিতির উন্নয়নে উচ্ছেদ চালাচ্ছে। বর্তমানে ব্যাটারি রিকশায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রেনিং, লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে এ গাড়িগুলো চালান চালকরা। হয় এগুলোকে বন্ধ করে দেন, নাহলে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এদের নিয়ন্ত্রণ করেন।’
সুয়ারেজ প্রকল্পে চসিকের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামকে বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হওয়া থেকে বাঁচাতে সবগুলো সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং সমন্বয় করতে হবে। ওয়াসার যে সুয়ারেজ প্রকল্প তা চসিকের সঙ্গে সমন্বয় না করলে ফলপ্রসূ হবে না। এ সভায় ওয়াসার কোনো প্রতিনিধি নেই। যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সাধারণ সভায় অনুপস্থিত থাকছে তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।
সিডিএ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘নগরীতে বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না। রাস্তা হলো ৮ ফিট, বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ৮ তালা, ১০ তালার। একেকটা বিল্ডিংয়ে একেকটা গ্রামের পরিমাণ লোক বসবাস করছে। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে চসিক থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে। ফায়ার ব্রিগেড থেকেও অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। কারণ কোনো দুর্ঘটনা হলে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হবে।