‘চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। কোভিডকালীন সারাদেশে চিকিৎসাসেবার দিক থেকে এ হাসপাতাল একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত হয়েছিল।’
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জেনারেল হাসপাতালটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য গুরুত্ব বিবেচনা করে এখানে প্রথমত নতুন ১০ তলা বহুতল ভবন ও পরবর্তীতে ২০ তলা বিশিষ্ট বহুতল নির্মাণের অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। একইসাথে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ব্যাপারেও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। বহুতল ভবন নির্মাণ হয়ে গেলে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’
নওফেল বলেন, অবকাঠামোই শুধু হাসপাতাল নয়, চিকিৎসাসেবাই মূল বিষয়। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জেনারেল হাসপাতালকে যেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিণত করতে পারি সেই চেষ্টা চলছে। এ সরকারের মেয়াদে তা করতে পারবো বলে আশা করছি। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে এ হাসপাতালে আউটডোর রোগীর টিকেট বা ইউজার ফি ৫ টাকার সাথে হাসপাতাল উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ ফি বাবদ আরও ৫ টাকা আদায়ের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এ ব্যাপারে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের মতামত দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি হাসপাতালের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে শিক্ষা উপমন্ত্রীর মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভার পূর্বে তিনি ফিতা কেটে হাসপাতালের বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন উদ্বোধন করেন। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের পক্ষ থেকে জেনারেল হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রদান করেন হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়–য়া।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের সিইও ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন শাহীন, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চসিক’র ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী প্রমুখ। জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, জেনারেল হাসপাতালে মোট ১৮টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এ বেডগুলো আগে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর জন্য ব্যবহার হতো। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও কমেছে। ফলে আইসিইউ’র অধিকাংশ বেড শূন্য থাকছে। কিছু কিছু নন-কোভিড রোগীর আইসিইউ বেড জরুরি। এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে এখন থেকে ১০টি আইসিইউ বেডে নন-কোভিড জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকী ৮টি আইসিইউ বেড কোভিড ইউনিটে রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হবে জেনারেল হাসপাতাল
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় নওফেল