নিজস্ব প্রতিবেদক »
সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডও প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। এবারে ১ হাজার ৯২টি স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪০ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন, যেখানে জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৬৪ জন। গত বছরের পরিসংখ্যানে এবার স্কুলের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ অর্জনের সংখ্যা।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে এই বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তবে তা গতবারের তুলনায় কমেছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গতবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। ছাত্র পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৮৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ হাজার ৭৭৫ জন ও ছাত্রী ১০ হাজার ৮৮৯ জন।
বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে আছেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৮১। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৯১ দশমিক ৩০ শতাংশ ও মানবিকে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৯৪ দশমিক ২১ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ কম, মহানগর ব্যতীত চট্টগ্রাম জেলায় পাশের ৮৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮৯ দশমিক ১১ শতাংশ।
এ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম ছাড়াও পরীক্ষা হয় আরও চারটি জেলার। এরমধ্যে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর ১ হাজার ৭৬টি স্কুল থেকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫০ জন। যেখানে জিপিএ-৫ অর্জন করে ১২ হাজার ৭৯১ জন। এবার জিপিএ-৫ অর্জনের রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যানে ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ অর্জনকারীর সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিবছর ধারাবাহিক নিয়মে তা বেড়েছে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেন। এরমধ্যে শতভাগ পাস করেছে ৭১টি স্কুলের পরীক্ষার্থীরা। গতবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে। কারণ গতবার শুধুমাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এবার সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।