সংবাদদাতা, আনোয়ারা »
ঈদের বন্ধ শেষে সরকারি-বেসরকারি সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুললেও পর্যটকের যেন কমতি নেই পারকি সমুদ্র সৈকতে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভিড় জমিয়েছে এ সৈকতে। এদিকে পর্যটকদের এমন পদচারণায় খুশি সৈকতের মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
গতকাল শুক্রবার সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। পর্যটকদের উল্লাসে মুখরিত রয়েছে দর্শনীয় স্থানগুলো।
নগরীর ২নম্বর গেইট এলাকা থেকে আসা অব্দুর রশিদ বলেন, শহরের কাছেই পারকি সৈকতের মত একটা জায়গা সত্যি শহরবাসীদের জন্য একটা বড় সুযোগ। প্রতি ঈদের পরেই পরিবার নিয়ে এখানে আসা হয়। তবে এটির সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে হাবিবা নুর নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, সুযোগ পেলেই পারকি সৈকতে এসে আসা হয়। এখানে বিনোদনের কমতি নেই। তা-ই সুযোগ পেলেই এখানে ঘুরতে চলে আসি।
মোহাম্মদ আমিন নামের এক ঘোড়সওয়ার জানান, বিচের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘোড়ায় সওয়ার হওয়া প্রতিজনকে দিতে হয় ১২০ টাকা করে। এইভাবে ঘোড়া দিয়ে তিনি দৈনন্দিন ২-৩ হাজার টাকা আয় করে থাকেন।
পলাশ নামের এক হাওয়াই-মিঠাই বিক্রিওয়ালা জানায়, আমার বাড়ি ময়মনসিংহ তবে প্রতি ঈদের মৌসুমে আমি এখানে এসে মিঠাই বিক্রি করি। এই মৌসুমে শুধু মিঠাই বিক্রি করে দৈনিক ২হাজার টাকা আয় করেছি।
পারকি বিচ কমিটির সদস্য স্থানীয় চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ্ বলেন, বিচের শৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন পয়েন্টে গ্রামপুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ যাতে এখানে উচ্ছৃংঙ্খলতা করতে না পারে সেজন্য সার্বক্ষণিক কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। তাছাড়া বিচে আসা যানবাহনকে যাতে যানজটের কবলে পড়তে না হয় সেজন্য মাঠে থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিচের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কর্ণফুলী জোনের অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার (এসি) আরিফ হোসাইন বলেন, আমরা বিচের শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে সব সময় তৎপর থাকি। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিচে বাইক নামায় তাদের জরিমানাসহ গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। এছাড়াও পর্যটকদের যেকোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেসমস্ত ফটোগ্রাফার এবং দোকানি পর্যটকদের হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এই বিষয়ে নজরদারি রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।