নিজস্ব প্রতিবেদক »
পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে পাট বা কাপড় বা নন ওভেন ফেব্রিক্সের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করে সবাইকে সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ করলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
পলিথিনমুক্তকরণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার পৃথক সমাবেশে এসব কথা বলেন মেয়র। এসময় তিনি ১ ডিসেম্বর থেকে চকবাজার, কাজীর দেউড়ি ও কর্ণফুলী মার্কেটকে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।
মেয়র বলেন, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি ও কর্ণফুলী মার্কেটকে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরবাসীর সহযোগিতায় অন্যান্য কাঁচাবাজার, দোকানপাটগুলো এর আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মাইকিং, প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পরবর্তীতে এ নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানাসহ কঠোর আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
পলিথিনের কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলিথিনের স্তরের কারণে জাহাজ চলাচলে যেমন বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি নদীর গভীরতা রক্ষার জন্য যে ড্রেজিং করার প্রয়োজন তা-ও প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব নগর হিসেবে গড়তে, কর্ণফুলী নদীরক্ষার মাধ্যমে বন্দর সচল রাখতে এবং জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ পেতে হলে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে পাট বা কাপড় বা নন ওভেন ফেব্রিক্সের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করে সবাইকে সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
পলিথিন বন্ধের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী সুপ্রভাতকে বলেন, আমার পলিথিনে অভ্যস্ত হয়ে গেছি বলে পলিথিন ছাড়া ভাবতে পারছি না। পলিথিন বন্ধ হয়ে গেলে আমরা বিকল্প খুঁজে নেব। এটাও ঠিক যে, নাইলন বা কাপড়ের ব্যাগগুলো দাম বেশি। একটা দশ টাকার কমে পাওয়া যায় না। তাই অনেকে কিনতে চাই না। তবু আমাদের পুরোনো অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে হবে। বাজারে যাওয়ার সময় ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই পলিথিন মুক্ত করা সম্ভব। সচেতন ছাড়া সম্ভব নয়।
সমাবেশগুলোতে সভাপতিত্ব করেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক ও নুর মোস্তফা টিনু। চসিকের পরিবেশ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন কাউন্সিলর নুরুল হক, শাহেদ ইকবাল বাবু, মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।