সুপ্রভাত ডেস্ক »
পদ্মা সেতু-বঙ্গবন্ধু টানেল হলে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু হবে না কেন, এ প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। গতকাল শনিবার বিকেলে জাসদ নেতা সাবেক এমপি প্রয়াত মঈন উদ্দিন খান বাদলের স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। বোয়ালখালী উপজেলা সদরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ স্মরণসভার আয়োজন করে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন। খবর সারাবাংলা’র।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু-বঙ্গবন্ধু টানেল হতে পারে, তবে কালুরঘাটে সেতু হবে না কেন? আমি দ্রুত কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। এটি প্রয়াত সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের শেষ ইচ্ছা। সেতুটি হলে বাদলের আত্মা শান্তি পাবে।’
সংসদ সদস্য বাদলের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সাল থেকে সাতবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। সংসদ সদস্য বাদলের মতো তুখোড় যুক্তি সহকারে সারগর্ভ বক্তব্য খুব কমই শুনেছি। বাদল ইংরেজি ও বাংলায় সমানতালে বলতে পারতেন। তিনি দেশের মঙ্গলের জন্য বলতেন, সরকার ভুল করলে তা-ও বলতেন। তার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই শুনতেন।’
‘বাদল তার মৃত্যুর কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একান্তে কালুরঘাট সেতুর কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমার সামনেই বাদলকে কথা দিয়েছিলেন সেতুটি তিনি করবেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসবেন। সেখানে আমরা আবারও প্রধানমন্ত্রীকে কালুরঘাট সেতুর দাবি জানাব’- বলেন মোশাররফ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এস এম আবুল কালাম, উত্তর জেলার সহ সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মদ রাশেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড.কাজী খসরুল আলম কুদ্দুসী, প্রয়াত সাংসদ বাদলের সহধর্মিনী সেলিনা বাদল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন।