ক্রীড়া প্রতিবেদক »
গত ২৫ নভেম্বর সম্পন্ন হয়েছে হওয়া চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) নির্বাচন। এ নির্বাচনে আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে ২৬ জন কর্মকর্তা নির্বাচিত হন। ২৭ নভেম্বর সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পত্রে ২৯ নভেম্বর এ কমিটির প্রথম সভা আহবান করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে। নির্বাচনের মাত্র দু’দিনের মাথায় নির্বাচন কার্যক্রমের উপর ৮ সúÍাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালত। গত ২৭ নভেম্বর মাদারবাড়ী মুক্তকন্ঠ ক্লাবের পক্ষে ফয়েজুর রহমান এবং অন্যান্যদের দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন। গতকাল (২৯ নভেম্বর) এ ব্যাপারে চ’ড়ান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। আর গত ১৩ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপ্রতি নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের পুর্নাঙ্গ বেঞ্চে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রেখেছেন। একই সাথে হাইকোর্টে এ বিষয়ে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচিতদের পদে থাকার ব্যাপারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ২৫৫ জন কাউন্সিলরের তালিকা সিজেকেএস কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদিত হলেও হারুনুর রশিদের আবেদনের ফলে চট্টগ্রাম জজ কোর্ট মাদারবাড়ি মুক্তকণ্ঠ ক্লাবের তিন প্রতিনিধি দিদারুল আলম চৌধুরী, এম এ মুসা বাবলু ও আশরাফুজ্জামানের নাম কাউন্সিলর তালিকা থেকে বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন। এর বিপরীতে সংক্ষুব্ধ পক্ষও আদালতের স্মরণাপন্ন হয় এবং কাউন্সিলরশিপ ফিরে পায়।
তারা তিন জন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্রও নেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত আশরাফ সরে দাঁড়ালেও দিদারুল আলম চৌধুরী সহ সভাপতি এবং মুসা বাবলু নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য ব্যাপক প্রচারণায় আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু ২৩ নভেম্বর শেষ প্রহরে আরেক রায় নিয়ে আসেন হারুনুর রশিদ যাতে উক্ত ৩ জনকে কাউন্সিলর তালিকা থেকে বাদ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। এরপর দিদার ও বাবলুর নাম বাদ দিয়ে ব্যালট পেপার সংশোধন করা হয়। নির্বাচনের একদিন পরেই কাউন্সিলরশিপ বাদ দিয়ে জারি করা আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করা হলে বিজ্ঞ আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত শুনানি শেষে সিজেকেএস নির্বাচন কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন।