নিজস্ব প্রতিবেদক »
মাঝিরঘাট পার্ব্বতী ফকিরপাড়ার গুলজার খাল পাড়ে হেলে পড়া ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করেছে। ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ অপসারণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বসবাসের অনুপযোগী, বিপদমুক্ত দূরত্ব বজায় রাখার সতর্ক বার্তাও দিয়েছে সিডিএ। তবে পুরোপুরিভাবে ভাঙা হবে না এসব অবৈধ স্থাপনা। নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ভবনগুলো। এসব স্থাপনা আরো বেশি দেবে গিয়ে খালের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের আওতায় থাকা সিল্ট ট্র্যাপের কারণে ভবনগুলো হেলে পড়েছে বলে জানিয়েছে সিডিএ কর্তৃপক্ষ। আইন অনুযায়ী খাল থেকে ১৫ ফুট দূরত্বে ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও এসব স্থাপনা তৈরিতে তা মানা হয়নি। তবে ভবন নির্মাণের বিধিভঙ্গের অভিযোগে ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে মামলাও হতে পারে বলে জানানো হয়।
সিডিএ’র প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান সুপ্রভাতকে বলে, ‘ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় ভবনগুলো ধরলেই ভেঙে পড়বে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ অংশ অপসারণ করা হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বসবাসের অনুপযোগী সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।’
তবে এসব স্থাপনার কি হবে জনাতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো এভাবেই থাকবে। এসব স্থাপনা বসবাসের অনুপযোগী। তাই এলাকাবাসীকে এসব স্থাপনার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খালের সাইড দেওয়ালের কাজ শেষ হলে ভবনগুলো অপসারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত সোমবার বিকেলে জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের আওতায় খাল সম্প্রসারণ ও খননের সময় মাঝিরঘাট এলাকায় দুটি ভবন, তিনটি সেমি পাকা ঘর ও মন্দির খালের দিকে দেবে গিয়ে ঝুঁকে পড়ে। এতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।