পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ৩টি ইউনিটের কার্যকরী কমিটির সভায় আ জ ম নাছির
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, যে দল গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ বলছে, তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না, ভেবে দেখতে হবে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে দলটি আবির্ভূত হয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে কলংকিত করেছে, ক্ষমতা ছিনতাই করেছে, তাদের মতো দেশ ও রাষ্ট্রদ্রোহী আর কেউ নাই। এই অপশক্তি নানাভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। রাজনৈতিক ইস্যুবিহীন নামমাত্র স্লোগানে মাঠ গরম করার এই অপকৌশল অবশ্যই প্রতিহত করা হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, দেশে খাদ্যঘাটতি নেই। তারপরও কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত মজুত, আমদানি পাইপ লাইন থাকা সত্ত্বেও অশুভ সিন্ডিকেট এদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে চায়। এরা দলের ভিতরেও আছে, বাইরেও আছে। এই সিন্ডিকেটের খলনায়কদের তালিকা তৈরি করার জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অশুভ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতদের দলে স্থান নেই। তিনি বলেন, দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট ঘোষণা অনুযায়ী সংগঠনের কোনো স্তরেই ভূমিদস্যু, মাদকাসক্ত অপরাধী এবং নীতিনৈতিকতা বিবর্জিত কোনো ব্যক্তির স্থান হবে না। এ ধরনের ব্যক্তি ইতোমধ্যে যারা দলে ঢুকে গেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যত বড় নেতাই হোন না কেন, কেউ যদি অপরাধী ও সমাজবিরোধীদের সাথে উঠাবসা বা কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখেন তাকেও ছাড় দেয়া হবে না।
নৌকা প্রতীকের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম. রেজাউল করিম বলেন, সামনের দিনগুলো সামাজিক ও অর্থনীতিক দিক থেকে অনুকূল। এ করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর প্রধান অবলম্বন চট্টগ্রাম। শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন আসন্ন মেয়র নির্বাচনে। নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আওতাধীন এ-ইউনিটের আবদুল সালাম জায়গিরদার, বি-ইউনিটের মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর, সি-ইউনিটের আবুল হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যকরী কমিটির সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য আলহাজ সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ হোসেন, যুব-ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, হাজি বেলাল আহমদ, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কায়সার মালিক, এ-ইউনিটের আনোয়ার হোসেন বাবু, বি-ইউনিটের আবুল হাশেম শাহ, সি-ইউনিটের জাফর ইকবাল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
এ মুহূর্তের সংবাদ