নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :
রাউজানে গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর এলাকার একটি পুকুর থেকে ইট বাঁধা নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় নিহত নাছরিন আকতার সুবর্ণার (২৫) ছোটবোন নাছিমা আকতার বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
জানা গেছে, মামলায় নিহতের স্বামী মনছুর আলমসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামি মনছুর আলমকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ১১টায় হত্যা মামলার আসামি মনছুর আলমকে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে বুধবার বিকেল ৩টায় নিহতের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখা যায়, নিহতের ১১ মাস বয়সী শিশুটি কখনো কাঁদছে, আবার কখনো খেলছে। সবেমাত্র আম্মু-আব্বু দুটি শব্দ উচ্চারণ করতে পারে। এই দুই শব্দ বার বার উচ্চারণ করছে শিশুটি।
মামলার বাদি নাছিমা আকাতার বলেন, আমার বোনের হত্যার বিচার চাই। খুনির বাড়িতে আমার বোনকে দাফন করিনি। বাপের বাড়িতেই নিহত নাছরিন আকতারকে দাফন করা হয়েছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, এখনো পর্যন্ত ঘটনার কোন রহস্য উদযাটন করতে পারেনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামীকে আটক করা হলেও পুলিশের কাছে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেনি। হত্যা মামলায় তাকে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মাঠে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দলই নগর এলাকার মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে এক নারীর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে সকাল ১১টায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেন। নিহত ওই নারীর নাম নাছরিন আকতার সুবর্ণা (২৫)। তিনি রাউজান পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শায়ের মো. চৌধুরীর বাড়ির মৃত মোজাহারুল হকের ছেলে মো. মনছুর আলমের স্ত্রী ও ফটিকছড়ি উপজেলার জাহানপুর এলাকার দলিলুর রহমানের মেয়ে। শরীরে আঘাতের চিহ্নসহ গলার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ইটবাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ মুহূর্তের সংবাদ