চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নবনির্মিত কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে প্রাথমিকভাবে কোন কোন বিভাগগুলো যাবে এ বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত সকল বিভাগের সভাপতিদের নিয়ে সভার আহ্বান করেছেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহিবুল আজীজ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. মহিবুল বলেন, নতুন কলা অনুষদে কোন কোন বিভাগ আগে প্রবেশ করবে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষদের পুরাতন বিভাগগুলোকে আগে পাঠানোর একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাকিটা সভার পর দেখা যাবে।
নতুন ভবনে কবে নাগাদ একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কিছু ভাবিনি। সভায় কোন বিভাগগুলো প্রথমে নতুন ভবনে যাবে এ সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তীতে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দ্বিতীয় ভবনের (ষষ্ঠ একাডেমিক ভবন) দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট। জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড লিড ফার্ম হিসেবে এবং দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস পার্টনার ইনচার্জ হিসেবে দরপত্রে অংশ নেয়।
ওই কাজের জন্য প্রথম নিম্ন দরদাতা হয় দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জি কে বি এল (জেভি)। তাদের ৭৫ কোটি টাকার এই কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয় ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শেষের সময় নির্ধারিত ছিল।
দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএল (জেভি) নামে কাজ শুরু হলেও দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সই শুরু থেকে কাজটি করছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল, একই বছরের ৩০ জানুয়ারি এবং ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৪ জুলাই মোট পাঁচবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদে গত বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়। কিন্তু সর্বশেষ বর্ধিত সময়ে কাজ হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। অথচ প্রতিবারই পরবর্তী মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করার লিখিত অঙ্গীকারনামা দেয় দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স।