নিজস্ব প্রতিবেদক »
গভীররাতে ঘরমুখো কিংবা সকাল সকাল অফিসগামী যাত্রীদের ছিনতাই করতে নগরের বিভিন্ন জায়গাও ওঁত পেতে থাকে তারা। সেই ছিনতাইয়ের ছকও আঁকে একসঙ্গে। এমনই সাতজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদেরকে। গতকাল সকালে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ৭টি টিপ ছোরা। এই সাতজনসহ আরো কয়েকজন মিলে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করছিলো। তারা মূলত ডাকাতি করে গভীর রাতে এবং ভোরে কম যাত্রীর বাস গুলোকে টার্গেট করে। সেসব বাসে সুযোগ বুঝে ওঠার পর যখন নির্দিষ্ট একটি জায়গায় পৌঁছায় তখন যাত্রীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা-পয়সা যা পায়, তা নিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এরকম কয়েকটি ঘটনার সূত্র ধরে আমরা নজরদারি বাড়াই।
সোমবার রাতে তাদেরকে পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একত্রে পেয়ে গ্রেফতার করি। এসময় ওখান থেকে কয়েকজন পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই পূর্বের অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন আইনে ৭-৮টি করে মামলা রয়েছে। তাদের মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।’
জানা যায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদরঘাট থানার উত্তর নালা পাড়া এলাকার গুরা সওদাগরের ভাড়াটিয়া মো. রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেল (৩২), একই এলাকার বাচুনির মায়ের কলোনীর রমজান হোসেন রুবেল (৩২), শাহাদাৎ হোসেন বাবু (৩০), দ্বীন ইসলাম প্রকাশ মুন্না (৩১), মনির হোসেন (৩৮), কর্ণফুলী থানার খোয়াইজ নগর গ্রামের মো. আল আমিন (৩০) এবং পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও গ্রামের এমদাদ মিয়ার বাড়ির মো. বাদশাহ (২৮)। এরমধ্যে চাকমা রুবেল তাদের দল প্রধান। তার ইশারাতেই চক্রের অন্যরা ডাকাতি করে।
রুবেলের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় ১৫টি, মো. আলামিনের বিরুদ্ধে ২টি, রমজান হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে ৮টি, শাহাদাৎ হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে ৩টি, মো. বাদশাহর বিরুদ্ধে ১টি, দ্বীন ইসলাম প্রকাশ মুন্নার বিরুদ্ধে ২টি, মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে।