বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশেরও বেশি নগর এলাকায় বসবাস করে। আমাদের দেশের অন্যান্য নগর বা শহরের মতো নাগরিকদের স্বল্পমূল্যে রোগনিরূপণের সুবিধা অপ্রতুল।
এই অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবায় একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স। নগরে যেখানে টেস্ট ফি সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে এই ইনস্টিটিউটে কম টাকায় পরীক্ষা করা হয়। যেখানে নগরীর প্রাইভেট ক্লিনিক্যাল ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো রোগীর পকেট থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বের করে নিচ্ছে সেখানে ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স সাশ্রয়ীমূল্যে ও নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে ভোগান্তিবিহীন উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নগরবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কমমূল্যে এখানে রোগনিরূপণী পরীক্ষা করা সম্ভব।
ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স বাংলাদেশ ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সারাদেশে ১৫টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স তাদের কার্যক্রম চালু রেখেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে থাকে।
চট্টগ্রামে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালের ৫ মে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সরকার নির্ধারিত স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন জটিল রোগ নির্ণয় পরীক্ষা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ‘লাল বিল্ডিং’ নামেই বেশি পরিচিতি লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সুপ্রভাতের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, আলট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান, থাইরয়েড, হরমোন পরীক্ষাসহ বর্তমানে ৬২টি ধরনের পরীক্ষা করা হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। আধুনিক সাজ-সরঞ্জামে সুসজ্জিত এই প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত লোকবল নেই। লোকবল নিয়োগ দেওয়া হলে এই প্রতিষ্ঠানের সেবার পরিধি আরও বড় হবে। সেবার মানও বাড়বে। সবচেয়ে বেশি উপকার হবে সাধারণ মানুষের।