নিজস্ব প্রতিবেদক »
তাল পাকা গরমের ভাদ্র শেষে এখন আশ্বিন মাস। শরতের বিদায়ের মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। হেমন্তের হিমেল হাওয়াকে সঙ্গী করে শীতের আগমনী বার্তা এলো বলে!
কিন্তু বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এখনও দুঃসহ গরমের অসহনীয় দাপট। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গরমের এই তীব্রতায় যখন ত্রাহি অবস্থা নগরবাসীর। তার মধ্যে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। চট্টগ্রামে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে লোডশেডিং। শুধু দিনের বেলায়ই নয়, গভীর রাতেও চলছে লোডশেডিং। এখন সেচ মৌসুম নয়। চট্টগ্রামের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদনও আগের চেয়ে অনেক বেশি। তারপরও কেন এত লোডশেডিং, তার যথাযথ ব্যাখ্যা নেই চট্টগ্রাম পিডিবির কাছে।
তাদের দাবি, জাতীয় গ্রিড থেকে চট্টগ্রামে চাহিদার প্রায় কাছাকাছি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই লোডশেডিং সহনীয় মাত্রার বেশি হওয়ার কথা নয়।
লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণার কথা উল্লেখ করে নগরীর হাসান তালুকদার বলেন, ‘অসহনীয় গরম, তার ওপর ঘন ঘন লোডশেডিং। রাত নেই, দিন নেই, যখন-তখন হচ্ছে লোডশেডিং। একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন, তীব্র গরমে লোডশেডিং কতটা পীড়াদায়ক।’
নগরীর সুগন্ধা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ করেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। গভীর রাতেও হচ্ছে লোডশেডিং। একদিকে দুঃসহ গরম অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা, জীবনটা একেবারে অতিষ্ঠ করে ফেলছে।’
চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)র প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, গ্রিড লাইনের সমস্যা হয়েছে। আশুগঞ্জ থেকে গ্রিডলাইন চালু করতে হয়েছে। বর্তমান আমাদের জেনারেশন কম। এই মুহূর্তে আমাদের লাগবে এগারো মেগাওয়াট জেনারেশন, সেখানে আমাকে বরাদ্দ দিয়েছে ৮০০ মেগাওয়াট। এই মুহূর্তে ৩০০ মেগাওয়াট ঘাটতি আছে। লোডশেডিং শুধু চট্টগ্রামে না, সারাদেশে ছিল। আরো কয়েকদিন লোডশেডিং থাকবে বলে তিনি জানান।
তার মতে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং হওয়ার কারণ হচ্ছে বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের ত্রুটি। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের সরবরাহ পাওয়া গেলেও পুরনো সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন সেই লোড নিতে পারছে না। এ কারণে প্রায়ই লাইনে ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। তা মেরামত করতে গিয়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। তিনি জানান, খুব শিগগির পুরাতন সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে।