ষষ্ঠ দিনে টিকা নিল ২০,৯০৮ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরের টিকাদানকেন্দ্রে ছুটছে টিকা প্রত্যাশীরা। গত সপ্তাহে টিকা নিতে এসে ভোগান্তি হলেও গতকাল সে চিত্র ছিল ভিন্ন। টিকাদানে শৃঙ্খলা ফিরে আসায় টিকা প্রত্যাশীদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে দেখা গেছে। তবে টিকাদানে কেন্দ্রভিত্তিক বরাদ্দ পূর্ণ হওয়ায় অনেক কেন্দ্রে নতুন করে নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গণ টিকাদান কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে চট্টগ্রামে শনিবার টিকা নিয়েছেন ২০ হাজার ৯০৮ জন। এর মধ্যে নগরের ১১টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ১৮৭ জন এবং ১৪টি উপজেলায় ৯ হাজার ৭২১জন।
এ নিয়ে গত ছয় দিনে নগরের ১১টি টিকাকেন্দ্র ও ১৪টি উপজেলায় টিকা নিয়েছেন ৫৭ হাজার ৯০২ জন। এছাড়া গতকাল শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ১১ হাজার ৯০৫জন। এরমধ্যে নগরীতে ৮১ হাজার ৫০০জন এবং ১৪ উপজেলায় ৩০ হাজার ৪০৫জন। শনিবার নগরীতে টিকা নেওয়া ১১ হাজার ১৮৭ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৯৯২ জন পুরুষ ও ৪ হাজার ১৯৫ জন মহিলা। এছাড়া ১৪ উপজেলায় টিকা নেওয়া ৯ হাজার ৭২১ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৫৭ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪৬৪জন মহিলা। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে ১৩ হাজার ২৪৯ জন পুরুষ ও ৭ হাজার ৬৫৯ জন মহিলা টিকা নিয়েছেন।
নগরীতে নিবন্ধন বন্ধ থাকার বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এখনো সব কেন্দ্রে নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়নি। যেসব কেন্দ্রে বরাদ্দকৃত প্রথম ডোজের টিকার নিবন্ধন পূর্ণ হয়েছে সেসব কেন্দ্রে নতুন করে টিকা না আসা পর্যন্ত নিবন্ধন বন্ধ থাকবে। নগরীতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চসিক জেনারেল হাসপাতালসহ আরো কয়েকটি কেন্দ্রে এবং হাটহাজারী উপজেলায় প্রথম ডোজের বরাদ্দকৃত টিকার নিবন্ধন পূর্ণ হওয়ায় এসব কেন্দ্রে নতুন করে টিকা না আসা পর্যন্ত নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলার ৯ হাজার ৭২১ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৪৬০ জন, রাংগুনিয়ায় ৪৭৫ জন, ফটিকছড়িতে ৫১০ জন, বাঁশখালীতে ৫২১ জন, আনোয়ারায় ৫৫৯ জন, সীতাকুন্ডে ১১৯১ জন, সাতকানিয়ায় ৬৯০ জন, রাউজানে ১৪৪০ জন, মীরসরাইয়ে ৬৮৮ জন, চন্দনাইশে ২৫০ জন, বোয়ালখালীতে ৭৫৭ জন, হাটহাজারীতে ১২১০ জন, সন্দীপে ১৫০ জন এবং পটিয়ায় ৮২০ জন টিকা গ্রহণ করেন।