নিজস্ব প্রতিবেদক»
সীমিত পরিসরে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে প্রাইভেট পরিবহন ও রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল। লকডাইনে সরকারি-বেসরকারি অফিসগামীদের দুর্ভোগ তো রয়েছেই। দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়েছে। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। তবে হেঁটে চলা মানুষের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীতে সরজমিনে দেখা যায়, কদমতলী, দেওয়ানহাট, ওয়াসা, কাজীর দেউড়ি, নিউ মার্কেট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা মোড়ে ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে রাইড শেয়ারিং। রাইডার চালকদের ইশারায় জিজ্ঞাসা করতে দেখা গেছে কোথায় যাবে। অন্যদিকে প্রথমদিনের ঢিলেঢালা লকডাউনে ভীতি কাটিয়ে বেশিরভাগ প্রাইভেট গাড়ি বেরিয়ে পড়েছে। বিকেলে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় যানজট হতে দেখা যায়। অফিসগামীদের দুর্ভোগ দিনদিন বেড়ে চলেছে। দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে গিয়ে তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। তবে অনেককে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
শহিদুল নামক এক বাইক রাইডার সুপ্রভাতকে বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) বাইক নিয়ে বের হইনি। আজকে (গতকাল) বের হলাম। সকাল বেলা আয় ভাল হয়েছিল। দুপুরের কিছুটা কম। পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, দেখেশুনে চালায়। হেলমেট সাথে আছে। তারপরও সতর্ক থাকতে হয়।’
বায়েজিদ এলাকার এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী উজ্জ্বল দাশ বলেন, ‘জামালখান বাসা থেকে বেরিয়ে রিকশা না পেয়ে রাইড শেয়ারিং বাইকে উঠলাম। তবে ভাড়া গুনতে হয়েছে দ্বিগুণ। সাধারণ সময়ে যে ভাড়া ৬০ থেকে ৮০ টাকায় যাওয়া যেত। আজকে সে পথ আসতে হয়েছে ১৫০ টাকায়। তবে এমন লকডাউন আমাদের জন্য খুব কষ্টকর। একদিকে পরিবার, চাকরি, লকডাউন সব ঝামেলা মিলে ওষ্ঠাগত প্রাণ।’
পোশাকশ্রমিক খাদিজা আক্তার বলেন, ‘লকডাউন হইলো আমাদের জন্য ডায়াবেটিসের ওষুধ। লকডাউন দিলে হাঁটতে হয়। তবে সারাদিন এত পরিশ্রম করার পরে হেঁটে অফিসে যেতে ও আসতে মন চায় না। গণপরিবহন খোলা রাখলেই আমাদের জন্য সুবিধা হতো। কারণ ডাবল ভাড়া দিয়ে গাড়ি চড়ে কামে যাওয়া পোষায় না।’