চসিককে স্ল্যাব প্রদানকালে সাবেক মেয়র মনজুর আলম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর অনুরোধে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম নিজ অর্থায়নে দ্বিতীয় বারের মত চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় জনগণের সুবিধার্থে ও ঝুঁকি এড়াতে নালা-নর্দমার ঢাকনা হিসেবে ব্যবহারের জন্য গত বছরের মত আবার এক ট্রাক স্ল্যাব-ঢাকনা প্রদান করেন। গতকাল মঙ্গলবার এ স্ল্যাব-ঢাকনা প্রদান করা হয়।
এদিকে নগরীর অক্সিজেন মোড়কে সম্প্রতি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী চত্বর ঘোষণার প্রেক্ষিতে গোল্ডেন ইসপাত ও এইচ এম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনায় মাইজভাণ্ডারী চত্বর নির্মাণের প্রস্তাবিত নকশাও মেয়রকে হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে অক্সিজেন মোড় থেকে নন্দিরহাট পর্যন্ত সড়কটি ‘হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী সড়ক’ নামে নামকরণের জন্যও মনজুর আলমের পক্ষ থেকে রেজাউল করিম চৌধুরীকে অনুরোধ জানানো হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ খোলা নালা-নর্দমা নিরাপদ করার জন্য চসিককে স্ল্যাব প্রদান করায় বতর্মান মেয়র সাবেক মেয়রকে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে অক্সিজেন মোড়ে মাইজভাণ্ডারী চত্বর নির্মাণ এবং অক্সিজেন মোড় থেকে নন্দিরহাট পর্যন্ত সড়কটি ‘হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী সড়ক’ নামে নামকরণের প্রস্তাবে রেজাউল করিম চৌধুরী আশ্বাস প্রদান করেন ও সাবেক মেয়র মনজুর আলমের আন্তরিকতার প্রশংসা করেন।
এ প্রসঙ্গে সাবেক মেয়র মনজুর আলম বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকার অনিরাপদ নালা-নর্দমা নিরাপদ করতে ও দুর্ঘটনা রোধকল্পে স্ল্যাব প্রদানের জন্য বর্তমান মেয়র অনুরোধ করলে আন্তরিকতার সাথে বিষয়টিতে এগিয়ে আসি। কারণ খোলা নালা-নর্দমার ফলে গত বছর কিছু তাজা প্রাণ হারিয়েছি। এ ধরনের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি চাই না। তাছাড়া আর কারো স্বপ্ন ভেসে না যাক খোলা নালার স্রোতের কবলে এটাও প্রত্যাশা। আমরা চাই চসিক এলাকার রাস্তা-ঘাট ঝুঁকিমুক্ত থাকুক। জনসাধারণ চলাচল করুক নিরাপদে।
এছাড়াও নগরবাসীর প্রয়োজনে নগরীর যে কোনো সমস্যা সমাধানে বতর্মান মেয়রের পাশে থাকবেন বলেও ঘোষণা দেন এই সাবেক মেয়র।
গতকাল সকাল ১১টায় নগরীর টাইগারপাসস্থ নগরভবনে বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে মনজুর আলমের পক্ষে স্ল্যাব, মাইজভাণ্ডারী চত্বর ও অক্সিজেন মোড় থেকে নন্দিরহাট পর্যন্ত সড়কটি ‘হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী সড়ক’ নামে নামকরণের প্রস্তাবপত্র তুলে দেন এইচ এম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর নির্বাহী পরিচালক মো. শামছুদ্দোহা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, মো. এয়াকুব নবী প্রধান প্রকৌশলী এইচ এম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও চসিক এবং মোস্তফা হাকিম গ্রুপের কর্মকর্তাবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি