তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবি’র মাধ্যমে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন। এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড মানে পাঁচ কোটি মানুষ। বাজারে দ্রব্যমূল্যও কমে গেছে। দ্রব্যমূল্য কমায় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। জনগণের মধ্যে যখন স্বস্তি ফিরে এসেছে তখন বিএনপির অস্বস্তি বেড়ে গেছে। তারা সেজন্য বাম-ভাইদেরকে দিয়ে হরতাল ডাকলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সারাদেশে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসছে, এতে আগামী নির্বাচনে আমরা আবারও ২০০৮ এর মতো ধস নামানো বিজয় নিশ্চিত করবো।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি মাষ্টার আসলাম খাঁন প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর কিছু কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন বিএনপি সারাদেশে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। এক্ষেত্রে তারা দ্বৈত নীতি অবলম্বন করেছে। একদিকে মজুতদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিয়েছে পণ্য মজুদ করার জন্য এবং পণ্যের মূল্য বাড়ানোর জন্য, অন্যদিকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপি সারাদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তাদের কাজটাই হচ্ছে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো। যখন পদ্মাসেতু নির্মাণকাজ শুরু হয় তখন বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। ছেলেধরা গুজব ছড়িয়েছিল। এই পদ্মাসেতু করতে পারবে না বলে তারা নানা ধরনের বিভ্রান্ত ছড়িয়েছিল। আজকে পদ্মাসেতু হয়ে গেছে, উদ্বোধনের অপেক্ষায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে এপার থেকে ওপারে গেছেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ১৩০টি দেশ যখন করোনার টিকা দেয়া শুরু করতে পারেনি, তখন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা টিকা দেয়া শুরু করলেন। করোনার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউ তিনি যেভাবে মোকাবেলা করেছেন এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রশংসা করেছে, জাতিসংঘ প্রশংসা করেছে, পৃথিবীর নেতৃবৃন্দ প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বিএনপি প্রশংসা না করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তারা এই টিকা না নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পরে নিজেরাই টিকা নিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপি আছে শুধু টেলিভিশনের পর্দায়। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে আবার নিজেরাই মারামারি করে।
তিনি বলেন, তারা বাম-ভাইদের দিয়ে হরতাল ডাকালো। হরতাল ডেকে জাফর উল্লাহ সাহেব নিজে সপরিবারে লন্ডন চলে গেলেন। আর বাম ভাইদের হরতালের সময় ঢাকা শহরে প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যাম ছিল। বাম ভাইদের আমি সম্মান করি, কারণ তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। কিন্তু তারা কেনো হরতাল করে জনগণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেন সেটিই আমার প্রশ্ন।
রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগ শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে মনে করিয়ে দিতে হবে ১৩ বছর আগে দেশের কি পরিস্থিতি ছিল। এতো যে ভাতা এবং যে উপকারভোগী, প্রতিটি ইউনিয়নে দেড় দুই হাজার মানুষ ভাতা পাচ্ছে। এর বাইরেও রাস্তাঘাট তো হয়েছে।
তিনি বলেন, কারো মেয়ে স্কুলে গেলে এখন তার কাছে মোবাইল ফোনে টাকা চলে আসে, এসব আগে ছিল না। বঙ্গবন্ধু কন্যার যাদুকরী নেতৃত্বে এভাবে দেশ এগিয়ে গেছে। এই কথাগুলো জনগণের মাঝে নেতাকর্মীদের মনে করিয়ে দিতে হবে, প্রচার করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখনও শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। আগামী নির্বাচনেও ইনশাআল্লাহ সারাদেশে আমাদের ধস নামানো বিজয় নিশ্চিত হবে। বিজ্ঞপ্তি
এ মুহূর্তের সংবাদ