দেড় টাকার ভ্যাটে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক»

একেই বলে ভাগ্যবান, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান (অনার্সের) ছাত্র মো. আল মারুফ ১ টাকা ৪৪ পয়সা ভ্যাটসহ ২৫ টাকার সমুচা কিনে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। গতকাল সকালে আগ্রাবাদস্থ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারাটের ’সৈকত’ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে এ পুরস্কারের চেক তুলে দন কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ইএফডি (ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস) মেশিনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে প্রতি মাসে লটারির মাধ্যমে ক্রয়কৃত পণ্যেও চালান নিয়ে এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। গত মে মাসে উত্তর পতেঙ্গার স্টিল মিল বাজারের নিউ মুন বেকারি থেকে মাত্র ২৫ টাকার সমুচা কিনেন বাঁশখালীর চেঁচুরিয়াচৌধুরী বাড়ির মারুফ। ইএফডিতে ভ্যাট দিয়ে রশিদ সংরক্ষণ করে গত ৫ জুন এনবিআরের লটারিতে তিনি এ পুরস্কার জিতেন। একই অনুষ্ঠানে অপর ১০ হাজার টাকার পুরস্কার বিজয়ী মো. আজহারুল আনোয়ার চানুর হাতেও কমিশনার চেক তুলে দেন। দক্ষিণ হালিশহরের সিইপিজেড ক্যাফেটেরিয়া থেকে পেশায় ইলেকট্রেশিয়ান চিনু ৭৭৫ টাকায় ৩ প্যাকেট লাঞ্চ কিনে ৯৭ টাকা ভ্যাট দেন।

অনুষ্ঠানে কমিশনার আকবর হোসেন বলেন, ডিজিটাল রাজস্ব ব্যবস্থার ওপর নির্ভও করছে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি। ইএফডির ইলেকট্রনিক চালান ইস্যুকে উৎসাহিত করতে এ লটারির আয়োজন। এ পুরস্কার ভ্যাট ও আয়করমুক্ত। কেনাকাটা করলেই এফডি মেশিন আছে এমন প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি রশিদ বুঝে নেয়ার আহবান জানান। এর মাধ্যমে ভ্যাট সরকারি কোষাগাওে জমা হবে। কেউ যদি ইএফডির চালান ইস্যু না করলে তাদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বার্তা দেন কমিশনার। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে ৫২০টি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও ৫০০ প্রতিষ্ঠানে এ মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা আছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম কমিশনার মুশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেশে ইএফডি একটা পর্যায়ে এসে গেছে। কালচাওে পরিণত করতে এনবিআর এ পুরস্কার চালু করেছে। ইএফডি চালান সংরক্ষণ কওে পুরস্কার বিজয়ীরা নিকটস্থ ভ্যাট অফিস থেকে সহজে পুরস্কার বুঝে নিতে পারবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপ কমিশনার ফাতেমা খায়রুন নূরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কমিশনার মো. সেলিম শেখ, উপ কমিশনার শাহীনূর কবির পাভেল, কামনাশীষ, মো. আহসানউল্লাহ, সাইদ আহমেদ রুবেল, সহকারী কমিশনার অনুরূপা দেব, এইচ এম কবির, এস এম সরাফত হোসেন প্রমুখ।