সুপ্রভাত ডেস্ক :
বাংলাদেশের সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
একই হাসপাতালে ‘কোভিড-১৯’ ও ‘নন-কোভিড’ রোগীদের আলাদা আলাদাভাবে চিকিৎসা দিতে হবে।
ঈদুল ফিতরের আগের দিন, গত ২৪শে মে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেশের সব সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, মেডিকেল কলেজ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছেও সেটি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কয়েকটি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশের সরকার।
কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত শয্যার অভাব, চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতার নানা অভিযোগ ওঠে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত না হলেও জ্বর, সর্দি-কাশির সাধারণ রোগীরাও হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারা বা চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেন।
এমন প্রেক্ষাপটে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে একই সঙ্গে কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালু করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ”স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন দেশের কোভিড-১৯ চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে, একই হাসপাতালে কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড রোগীদের ভিন্ন ভিন্ন অংশে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেছেন।”
”এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাব অনুযায়ী কোভিড এবং নন-কোভিড রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যা ও তার বেশি শয্যা বিশিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ প্রদান করা হল।”
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশে বর্তমানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই হাজারের বেশি রোগী সেই তালিকায় যোগ হচ্ছে। এই রোগীদের বেশিরভাগই যদিও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৫২২ জনের।
বাংলাদেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সন্দেহভাজন কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ গত মাসে নির্দেশনা জারি করলেও তার কোন বাস্তবায়ন হয়নি।
বরং প্রতিদিন অসংখ্য রোগীকে নিয়মিত চিকিৎসা পেতেও নানা ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের লাইসেন্স বাতিল করাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।