বাঁকখালী নদী দখল
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
বাঁকখালী নদী দখলের দৃশ্য দেখতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একটি দল সরেজমিন পরিদর্শন গিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে টিমটি সরেজমিন পরিদর্শন করে নদী দখল করে ভরাট ও প্যারাবনের গাছ নিধনের সত্যতা পান এবং উপস্থিত লোকজন ও দখলদারের পাহারাদারদের সঙ্গে কথা বলে পরিবেশ বিধ্বংসী এসব কাজে জড়িতদের নামও পেয়েছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, নদী দখল ও প্যারাবন নিধনের অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সরেজমিন পরিদর্শন করতে এসেছি। পরিদর্শনকরে নদী দখল করে ভরাট ও প্যারাবনের গাছ নিধন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।
এসময় তিনি বলেন, নদী দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হাইকোর্টের নিদের্শনা রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী দখলকারী ও প্যারাবনের গাছ নিধন করে স্থাপনা নির্মাণকারী এবং প্লট বাণিজ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উচ্ছেদ করা হবে নির্মিত ও নির্মাণাধীন সব স্থাপনা।
জানা যায়, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক রিট মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বাকঁখালী নদী দখলদারদের তালিকা তৈরি করে তাদের উচ্ছেদ ও দূষণের উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি যে কোনো উদ্দেশ্যে নদী ইজারা থেকে বিরত থাকতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ ১০ সরকারি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।