ফটিকছড়িতে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী
সাবরুম-রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণে
বাণিজ্যিক সুবিধার ক্ষেত্র তৈরি হবে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি :
বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অনেক গভীর। কারণ বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ। দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সকলের কাছে বিরাজমান।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবার শরীফ পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ভারতীয় হাই কমিনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং আমাদের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর স্মরণীয় বছরগুলোর স্বীকৃতি হিসেবে আমি মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। বাংলাদেশ-ভারত পাশাপাশি দুটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছতে আর বেশি দেরি নেই।
দোরাইস্বামী বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী সাবরুম-রামগড় স্থলবন্দরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং এ আন্তঃদেশীয় সংযোগ দুই দেশের বন্ধনকে আরো সমৃদ্ধ করবে। বিশেষ করে ত্রিপুরা, আসামসহ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুবিধার ক্ষেত্র তৈরি হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, স্থলবন্দর পয়েন্ট থেকে সোনাইপুল, কালাপানিয়া, সেমুতং, বাটনাতলী, গাড়ীটানা হয়ে ফটিকছড়ির ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে সংযোগে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও ফটিকছড়ির সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর হাতে ভারতে রক্ষিত কোরআন শরীফের একটি প্রাচীন কপি তুলে দেন হাইকমিশনার। তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যনার্জি, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন এবং হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম সভায় বক্তব্য দেন।