নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘিনালা :
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় অপহৃত পাহাড়ি নারীসহ তিন জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে তারা নিজ বাড়িতে পৌঁছেন। পরে দীঘিনালা থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়া। এদিকে গতকাল তাদের খাগড়াছড়ি বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে তাদের জবানবন্দি নিয়ে আত্মীয়দের জিম্ময় ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) কে দায়ী করা হলেও ইউপিডিএফ জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা তা অস্বীকার করেন। এদিকে গত সোমবার রাতে অপহৃত রাজলক্ষ্মী চাকমার স্বামী এবং রণজ্যোতি চাকমার পিতা ধর্মদাশ চাকমা বাদি হয়ে দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে দানবীর চাকমা (৬৮) কে প্রধান আসামি করে মোট ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
অপহরণের পর ছাড়া পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ধর্মদাশ চাকমার স্ত্রী রাজলক্ষ্মী চাকমা (৬৫), তাদের ছেলে রণজ্যোতি চাকমা (৩২) এবং প্রিয়নাথ চাকমার ছেলে প্রভাতচন্দ্র চাকমা (৩৫)। তাদের সকলের বাড়ি উপজেলার কামাকোছড়া গ্রামে। ধর্মদাশ চাকমা জানান, প্রতিবেশী দানবীর চাকমার সাথে তাদের ভূমিবিরোধ ছিল। অন্যদিকে দানবীর চাকমার স্ত্রী তৃপ্তি চাকমার বড়ভাই ইউপিডিএফ-এর একজন বড় নেতা। গত রোববার দুপুরে স্থানীয় কারবারি প্রণয় চাকমার মুঠোফোনে তাদের বাবুছড়া বাজারে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকেই তাদের অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধর্মদাশ আরও জানান, সেখানে তাদের কোনো প্রকার নির্যাতন করা হয়নি। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুপ)-এর জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ইউপিডিএফ অপহরণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তিনি জানান, একটি পক্ষ পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপহৃতদের খাগড়াছড়ি বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে জবানবন্দি নিয়ে তাদের আত্মীয়দের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।