নিজস্ব প্রতিবেদক »
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নকে ধারণ করে এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা এ ক্যাম্প থেকে নেওয়া শিক্ষাকে গ্রহণ করে জাতির পিতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে বুকে লালন করে এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তোমরাই হচ্ছো নৌকার সহযাত্রী। আমাদের যে ভিশন- ‘২০৪১’, স্মার্ট বাংলাদেশ; তোমরা সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহযাত্রী। তোমাদেরকে নিয়েই আমরা এ বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের ফাইনাল স্টেজে নিয়ে যাবো।’
গতকাল শুক্রবার বিকেলে যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের আয়োজনে ৭ম বিভাগীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশ গঠনে অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে রেড ক্রিসেন্টের ফ্রন্ট লাইনার যোদ্ধারা। তারুণ্যের শক্তির সাথে রেড ক্রিসেন্ট জ্ঞানে উদ্বুদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমাদের দক্ষ প্রশিক্ষিত রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে মানবতার বিপর্যয় সেখানে সব সময় রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়েন। চট্টগ্রাম সিটি এলাকাসহ উপজেলা পর্যায়ের প্রত্যেকটি স্তরে স্বেচ্ছাসেবকরা যেকোনো বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে তৈরি এবং প্রস্তুত থাকে। রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের ইতিহাস বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
যুব প্রশিক্ষণার্থীদের এ ক্যাম্পের ভালো দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখার কোনো শেষ নাই, বোঝার কোনো শেষ নাই। এখানে তোমরা যা শিখেছো তা তোমাদের অন্য বন্ধুদের শেখাবে, যারা এখানে আসেনি। এছাড়াও তোমরা যেসব প্রশিক্ষণ নিয়েছো তোমাদের ছোট ভাই-বোনদের তা শেখাবে। এ ক্যাম্প আগামীতে তোমাদের নানা সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা তোমরা প্রফেশনাল লাইফে গেলে বুঝবে। এই সংগঠন স্বেচ্ছাসেবামূলক ত্রাণ সংগঠন হিসেবে কোন স্বার্থ বা লাভ অর্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করে না। আমার বিশ্বাস আজকে এই চট্টগ্রামে ক্যাম্প করার মাধ্যমে রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা প্রশিক্ষিত এবং মেলবন্ধন সৃষ্টি করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রস ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর মোহাম্মদ দুলু উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে এ ক্যাম্প শুরু হয়। চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলা, সিটির করপোরেশন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশের ৬৮টি ইউনিট থেকে চার দিনব্যাপী ১ হাজার ৪৫০ জন যুব স্বেচ্ছাসেবক এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করছে।