সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মেন্টর হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন তামিম ইকবাল। এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছিলেন, তিনি অধিনায়ক থাকলে দুই বছর পর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে মাশরাফিকে মেন্টর হিসেবে চান। জবাবে মাশরাফি বলেছিলেন, দেশের স্বার্থে যেকোনও সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত তিনি। আজ (শনিবার) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাশরাফি চাইলেই কেবল এটা সম্ভব।
তামিমের ওই অনুষ্ঠানের পরই মাশরাফির ইস্যু নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। শনিবার বিকেএসপিতে বিসিবি সভাপতির কাছে প্রশ্ন এলো, মাশরাফিকে কি কোনোভাবে কাজে লাগনো যায়? জবাবে পাপন বলেছেন, ‘জানি না। ওরকম কিছু হয়নি। মাশরাফি যদি আসতে চায় আমরা তো চাইবোই তাকে নিয়ে আসতে। এখন পর্যন্ত ওরকম কোনও আলোচনা হয়নি।’
তারপরও প্রশ্ন থামেনি। আবারও জিজ্ঞেস করা হয়, বিসিবি সভাপতি হিসেবে প্রভাব তো আছেই আপনার, সেক্ষেত্রে আপনি কতটা চান? এবার পাপন বললেন, ‘না না, ইস্যুটা তা না। ইস্যুটা আপনাকে বুঝতে হবে। আমি না হয় আরও এক বছর, দেড় বছর, কী দুই বছর আরও কয়েকজনকে খেলিয়ে গেলাম বলে বলে…। তারপর কী হবে? আমাদের তো ভবিষ্যতের জন্য লং টার্ম পরিকল্পনা করতে হবে।’
ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের মেন্টর হয়েছিলেন তিনি। ধোনি ভারতের বিশ্বকাপ দলে যোগ দেওয়ায় পর বাংলাদেশের মেন্টর হিসেবে মাশরাফিকে দেখতে চেয়েছিলেন অনেকে ক্রিকেটপ্রেমী। ‘দ্য তামিম ইকবাল শো’তে তামিমের প্রশ্ন ছিল, তিনি যদি ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অধিনায়ক থাকেন এবং যদি মেন্টর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাহলে কী করবেন মাশরাফি?
বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক বলেছিলেন, দেশের প্রয়োজনে কোনও কিছুতে ‘না’ নেই তার। মাশরাফির ভাষায়, ‘সত্যি বলতে দেশের জন্য কোনও কিছুতে না করা আমার জন্য কঠিন। তবে মেন্টর এখন লাগবে বলে আমার কাছে মনে হয় না। এখন এটার দরকার নেই। তবে দেশের জন্য দরকার হলে আমার ক্ষেত্রে না বলা সত্যি কঠিন।’
এরপরই তামিম বলেছেন, ‘আমি যদি ২০২৩ বিশ্বকাপে অধিনায়ক থাকি, বোর্ড যদি রাজি থাকে, আপনি (মাশরাফি) যদি রাজি হন তাহলে পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আপনাকে বাংলাদেশের মেন্টর হিসেবে চাই।’