বিদ্যমান তফসিলেই ভোট হবে!
সালাহ উদ্দিন সায়েম :
স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর মাসে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে ইসি থেকে চসিকের ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান তফসিলেই চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তার পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সুপ্রভাতকে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসি থেকে চসিকের ভোটের প্রস্তুতির নির্দেশ পাওয়ার কথা সুপ্রভাতের কাছে স্বীকার করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। গতকাল তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘কিছু দিন আগে নির্বাচন কমিশন থেকে চসিকের ভোটের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কেবল নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভোটের অন্যান্য প্রস্তুতি আগ থেকে রয়েছে। ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত রয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ইভিএম মেশিনও।’
২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২১ মার্চ ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এর একদিন আগে তিন হাজার নির্বাচনী কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরদিন ভোট স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর বিদ্যমান নাকি নতুন তফসিলে ভোট হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু বিদ্যমান তফসিলেই স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুপ্রভাতকে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রধান দুই দলের দুই মেয়র প্রার্থীর কোনো দুর্ঘটনা না হলে বিদ্যমান তফসিলেই ভোট হবে। দুই দলের কোনো মেয়র প্রার্থীর সমস্যা হলে নতুন তফসিলের বিবেচনা আসতে পারে।
দেশে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি যে অবস্থায় রয়েছে ডিসেম্বরেও যদি একই অবস্থায় থাকে তাহলে চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইসির এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের ১১ ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন হয়েছে। তাই বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে চসিক নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
প্রসঙ্গত, স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ছিলেন রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যদিকে বিএনপি থেকে প্রার্থী হন ডা. শাহাদাত হোসেন। অন্য দলের আরো পাঁচজন মেয়র প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৫৫টি পদে ২৬৯ জন প্রার্থী ছিলেন।
৫ আগস্ট চসিকের নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে প্রশাসক নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ৬ মাস পর্যন্ত প্রশাসকের মেয়াদ রয়েছে।