একটা সময় বিনোদন মানে ছিল খোলা মাঠ। সবুজ ঘাসের মাঠে মগ্ন খেলাধুলা। সময়টা হারিয়ে গেছে। জীবন আটকে আছে চার দেয়ালে। সেই সময়ে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার সব ইউনিয়নে একটি করে খেলার মাঠ তৈরি হবে। মাঠ তৈরির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ইতিমধ্যে জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১ ইউনিয়নে জায়গা নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। আগে থেকে খেলাধুলা হয়, এমন কোনো মাঠ সংস্কার নয়, বরং প্রতিটি ইউনিয়নে নতুন মাঠ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এসব মাঠের নির্মাণকাজ শেষ হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠে খেলাধুলার সব ব্যবস্থা, গ্যালারি, ব্যায়াম, বিশ্রাম ও হাঁটার স্থান রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি মাঠের পাশে থাকছে সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের উপযোগী উন্মুক্ত মঞ্চ।
একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের সব ইউনিয়নে একটি করে মাঠ নির্মাণের ঘোষণা দেন গত ২ মার্চ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। ওই মাসেই প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি। ইতিমধ্যে হাটহাজারীসহ চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে মাঠ নির্মাণের জন্য যাবে, সম্ভাব্য এমন ২০০টি জায়গার তথ্য পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে ১৯১টি মাঠের জায়গা নির্বাচন করা হবে।
গত জানুয়ারিতে জেলা প্রশাসকদের ২৫টি নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ৯ ও ১০ নম্বর নির্দেশনা ছিল, প্রতিটি এলাকায় সৃজনশীল চর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মকা- ও ক্রীড়াসুবিধা নিশ্চিত করা। এ জন্য জেলা- উপজেলায় পার্ক, খেলার মাঠ সংরক্ষণ এবং নতুন পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিতে বলা হয়। চট্টগ্রামে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই মাঠ নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশা করেন জেলা প্রশাসক।
মাঠ নির্মাণের খরচের বিষয়টিও সুরাহা হয়েছে এর মধ্যে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির (টেস্ট রিলিফ) জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই অর্থ দিয়েই এই মাঠগুলো নির্মাণ করা হবে।
বিভিন্ন উপজেলায় অনেক জায়গা পরিত্যক্ত পড়ে আছে। কোথাও জন্মেছে ঝোপঝাড়। এসব জায়গায় মাঠ নির্মিত হলে স্থানীয় পর্যায়ে পেশাদার খেলোয়াড় তৈরি সম্ভব বলে মনে করছেন খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।