সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ^সহ বাংলাদেশ আজ ভারসাম্যহীন অবস্থানে আছে। এ কারণে টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তিগত উৎকর্য সাধন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোরিয়ান এনভায়রনম্যান্ট ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোজলি ইনিস্টিটিউট একটি প্রাকসম্ভাব্যতা যাচাই কার্য সম্পাদন করেছে। এর মধ্যে যা অপরিপূর্ণতা আছে তা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পর্যবেক্ষণ করে একটি টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। এর ফলে চট্টগ্রাম নগরীতে একটি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
তিনি গতকাল বুধবার সকালে নগরীর জিইসি মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে বিশ^ব্যাংক ও কোরিয়ান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডির অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, মীর্জা ফজলুল কাদের, জয়সেন বড়–য়া, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, কোরিয়ান টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রির গোলাম সরওয়ার ও মুনির আলম চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় কোরিয়ান এ সংস্থা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর প্রাকসম্ভাব্যতা যাচাইয়ের যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে সেটা নিয়ে আমরা আরো পর্যবেক্ষণ করবো। তবে আমাদের ভূমির স্বল্পতা বিবেচনা করে এবং মেডিক্যাল বর্জ্য আলাদা করে প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি