নিজস্ব প্রতিবেদক »
বেলা বারোটা। গেইটের সামনে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে যুব ক্রিসেন্ট ও রোভার স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবকরা। টিকা গ্রহীতাদের দীর্ঘ সারি ছিল না। তবে যারা টিকা নিতে আসছে তারা খুবই উল্লসিত। টিকা পেয়ে অনেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করছে।
গতকাল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টিকাদান কেন্দ্র চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলে এমন চিত্র দেখা যায়।
চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। তিনি সুপ্রভাতাকে বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ভেবেছিলাম লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে। এখানে এসে দেখলাম লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। টিকা নিতে পেরে নিজেকে নিরাপদ মনে হচ্ছে।
গতকাল এই কেন্দ্রে ১ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি থাকলেও টিকা নিয়েছে ৬৫৪ জন। অনেকে মনে করছেন, সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে টিকা নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
নগরের তিনটি কেন্দ্র চট্টেশ্বরী রোডের চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, ইস্পাহানি মোড়ের স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল এবং একে খান মোড়ের মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮টি বুথে চলছে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম। আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রথমেই আনা হচ্ছে এ টিকার আওতায়।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমদিন চট্টগ্রাম কলেজ, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়। গতকাল দেয়া হয় সরকারি সিটি কলেজ ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের।
প্রথম ধাপে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক হোসাইন আহমেদ আরিফ ইলাহী বলেন, আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষাদের প্রথম ধাপে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।