সুপ্রভাত ডেস্ক »
ভারত সফররত তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ নয়াদিল্লিতে সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরের সাথে বৈঠক করেছেন।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সাথে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে বৈঠক করেন। দু’দেশের মধ্যে জনযোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা বৈঠকে স্থান পায়।
আজকের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে দু’টি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তা হল, দু’দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানো এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আমদানি।
বাংলাদেশের প্রায় বারো লাখ মানুষ ভারতীয় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়ার পরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন। কিন্তু ভারত থেকে আর প্রতিষেধক আসেনি। ঘরোয়া ভাবে ঢাকাকে জানানো হয়, পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেই আবার প্রতিষেধক পাঠানো হবে। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে নয়াদিল্লিকে সেই টিকা পাঠানোর অনুরোধ ফের করেছে ঢাকা।
পাশাপাশি উঠেছে সংযোগ বাড়ানোর বিষয়টিও। দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়লে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও তার ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে সকালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সরকারি বাসভবনে তার সাথে বৈঠকে ড. হাছান মাহমুদ দু’দেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মীয়মান বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বায়োপিকের অগ্রগতি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর ও ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্ভাব্য যৌথ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ এসময় বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত ক্লিন ফিড সম্প্রচারের বিষয়ে যে আইন রয়েছে, তা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান, ডেপুটি হাইকমিশনার নূরাল আলম ও প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বুধবার দেশে ফিরছেন।
সূত্র : বাসস ও আনন্দবাজার পত্রিকা